দেশের প্রথম আইটি পার্কের যাত্রা শুরু ১০ ডিসেম্বর


তবিবর রহমান, যশোর প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০১৭, ০৫:৩১ পিএম
দেশের প্রথম আইটি পার্কের যাত্রা শুরু ১০ ডিসেম্বর

যশোরে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত দেশের প্রথম আইটি পার্ক নির্মাণ শেষে আগামী ১০ ডিসেম্বর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’ নামকরণ করা এ পার্কটি গণভবন থেকে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার যশোর জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে উদ্বোধন অনুষ্ঠান বিষয়ক প্রস্তুতি সভায় এতথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন পার্কের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জাহাঙ্গীর আলম।
 
প্রকল্প পরিচালক বলেন, ১০ ডিসেম্বর উদ্বোধন করতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। এ পার্কের মূলভবনে জাপানের দুটি কোম্পানিসহ ৫৫টি কোম্পানিকে পার্কে আইটি ব্যবসার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্টার্টআপ কোম্পানি হিসেবে তরুণদের বিনামূল্যে পুরো একটি ফ্লোর বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।
 
তিনি আরো জানান, খুলনা বিভাগের ১০ জেলাকে টার্গেট করেই যশোরে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক করা হয়েছে। দেশ-বিদেশের আইটি শিল্প উদ্যোক্তারা এখানে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। এ পার্কে মূলত সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ফ্রিল্যান্সিং/আউটসোর্সিং, কল সেন্টার, রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আরঅ্যান্ডডি) এ কাজগুলো হবে।
 
জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠান বিষয়ক প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রেজায়ে রাব্বী প্রমুখ।

প্রকল্পের সার্ভে প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরে আইটি পার্ক স্থাপনের ঘোষণা দেন। সে অনুযায়ী ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যশোর শহরের নাজির শংকরপুর এলাকায় এ আইটি পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। দুই লাখ ৩২ হাজার বর্গফুট জায়গার উপর ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই হাইটেক পার্কে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধাসহ রয়েছে ১৫ তলাবিশিষ্ট এমটিবি ভবন, ১২ তলাবিশিষ্ট ফাইভ স্টার মানের ডরমেটরি ভবন, অত্যাধুনিক কনভেনশন সেন্টারের সঙ্গে আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং।

জাপানি উদ্যোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী ডরমেটরি ভবনের ১১ তলার পুরোটাতে আন্তর্জাতিকমানের জিম স্থাপন করা হয়েছে। আর সব বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছে ভূমিকম্প প্রতিরোধক কম্পোজিট (স্টিল ও কংক্রিট) কাঠামোতে। এছাড়া প্রতিটি ফ্লোরে ১৪ হাজার বর্গফুটের জায়গা রয়েছে। এতে থাকছে ৩৩ কেভিএ পাওয়ার সাব- স্টেশন, ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট লাইন এবং অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের সুবিধা।

গোনিউজ২৪/কেআর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের আরো খবর