আন্টার্কটিকার রক্তবর্ণ জলপ্রপাতের রহস্য ভেদ বিজ্ঞানীদের


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০১৭, ০২:৪৯ পিএম
আন্টার্কটিকার রক্তবর্ণ জলপ্রপাতের রহস্য ভেদ বিজ্ঞানীদের

আন্টার্কটিকার ‘ব্লাড ফলস’-এর রহস্য উদ্ঘাটন করলেন বিজ্ঞানীরা। আন্টার্কটিকার জমাটি ঠান্ডার মধ্যেও কী ভাবে এই জলপ্রপাতের উদ্ভব তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা। শুধু তাই নয়, জলপ্রপাতের জল লাল হওয়ার কারণ কী সেটা নিয়েও গবেষণা চলছিল। কেউ বলেছেন, লাল রঙের শ্যাওলার কারণে জলের রঙ লাল, তে কেউ বলেছেন অক্সিডাইজড আয়রনই এর জন্য দায়ী! আন্টার্কটিকার ম্যাক মারডো শুষ্ক উপত্যকায় পাঁচতলা সমান উঁচু এই জলপ্রপাতটি ১৯১১-তে আবিষ্কার করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ভূতত্ত্ববিদ গ্রিফিথ টেলর।

জলের রঙ নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক থাকলেও, ব্লাড ফলস-এর উত্স নিয়ে কিন্তু ধোঁয়াশাই থেকে গিয়েছিল। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব আলাস্কা এবং কলোরাডো কলেজের এক দল গবেষক ব্লাড ফলস-এর উত্সস্থল নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই জলপ্রপাতটির মূল উত্স একটি নোনা জলের হ্রদ। যেটা ৫০ লক্ষ বছর ধরে টেলর হিমবাহের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে। নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে বিজ্ঞানীরা রেডিও-ইকো সাউন্ডিং প্রযুক্তির সাহায্য নেন। এই প্রযুক্তির সাহায্যে হিমবাহের নীচে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ পাঠানো হয়। সেখান থেকে যে সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেন হিমবাহের নীচে তরল অবস্থায় থাকা এই বিশাল হ্রদের অস্তিত্ব।

প্রশ্ন উঠছে হিমবাহের নীচে কী ভাবে হ্রদের জল তরল অবস্থায় রয়েছে? হিমবাহ বিজ্ঞানী এরিন পেতিতের মতে, জমে যাওয়ার আগে জল তাপ ছাড়ে। সেই তাপ নোনা জলকে জমতে দেয় না। ফলে ওই তাপমাত্রাতেও জল তরল অবস্থাতেই থেকে যাচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা জানান, লৌহ সমৃদ্ধ হ্রদের জল অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসছে, তখনই সেটা লাল রঙের হয়ে যাচ্ছে। ফলে টেলর হিমবাহের গায়ে রক্তবর্ণের মতো দাগ তৈরি হচ্ছে। সূত্র:আনন্দবাজার পত্রিকা 

 

গো নিউজ২৪/জা আ 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের আরো খবর