কুয়েতের নাগরিক হলে পাপুলের সিট খালি করে দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২০, ০৩:১৮ পিএম
কুয়েতের নাগরিক হলে পাপুলের সিট খালি করে দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতের নাগরিক হলে তার এমপি পদ বাতিল হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে পাপুলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এর আগে সাত দিন বিরতির পর সকাল ১১টায় সংসদের মুলতবি বৈঠক শুরু হয়।

এর আগে বিএনপির এমপি হারুনুর রশিদ এ বিষয়টি পয়েন্ট অর্ডারে দাঁড়িয়ে উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি পাপুলের বিদেশি নাগরিকত্ব থাকার কথা উল্লেখ করেন।

এর পর প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়ে বলেন, তিনি (পাপুল) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমপি হয়েছেন। আওয়ামী লীগের কাছে মনোয়ন চেয়েছিলেন, আমরা তাকে মনোনয়ন দেইনি। ওখানে আমরা মনোনয়ন দিয়েছিলাম জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে। তিনি নির্বাচন করেননি। পাপুল এমপি হয়েছেন, তার স্ত্রীও সংরক্ষিত আসনের এমপি। আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি, কথা বলছি, তিনি বিদেশি নাগরিক কিনা। সেটা হলে ওই সিট খালি করে দিতে হবে।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ-এর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে কর্মহীন হয়ে পড়া বাংলাদেশি কর্মীরা যাতে করোনা পরবর্তী সময়ে পুনরায় কাজে নিয়োগ পেতে পারে, সেজন্য বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এই অন্তর্বর্তী সময়ে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনের শ্রমকল্যাণ শাখার মাধ্যমে আমরা দুস্থ ও কর্মহীন হয়ে পড়া প্রবাসী কর্মীদের মাঝে প্রায় ১১ কোটি টাকার ওষুধ, ত্রাণ ও জরুরি সামগ্রী বিতরণ করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনার কারণে চাকরিচ্যুত হয়ে কিংবা অন্য কোনো কারণে বিদেশফেরত কর্মীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য আমরা ইতোমধ্যেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অনুকূলে ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ অনুমোদন করেছি। এ ছাড়া করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিদেশ প্রত্যাগত কর্মীদের এবং প্রবাসে করোনায় মৃত কর্মীর পরিবারের উপযুক্ত সদস্যকে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে বিনিয়োগ ঋণ প্রদানের জন্য আমরা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছি। এ সংক্রান্ত নীতিমালা ইতোমধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পাস করার পর সাতদিনের জন্য অধিবেশন মুলতবি রাখা হয়। এর আগে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে গত ১০ জুন বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ১১ জুন সংসদে ৫ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন।

গো নিউজ২৪/আই

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর