করোনায় ৪ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসীকে জোর করে ফেরত পাঠানো হয়েছে


দেশজুড়ে প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২১, ০১:৪৯ পিএম
করোনায় ৪ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসীকে জোর করে ফেরত পাঠানো হয়েছে

করোনা মহামারির মধ্যে ৪ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিককে জোর করে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আসন্ন ২০২১ সালের বিশ্ব মানবপাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। 

আজ বুধবার সকালে বিশ্ব মানবপাচার প্রতিরোধ দিবস ‘ওয়ার্ল্ড ডে এগেনস্ট ট্রাফিকিং ইন পারসন ২০২১’ কে সামনে রেখে ওয়েবিনারের আয়োজন করে আইওএম। এতে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো, বাংলাদেশের আইওএম প্রধান গিওরগি গিগাওরিসহ বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনৈতিক, জাতিসংঘ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এতে সূচনা বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনসিডিং বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলি। অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও চিত্র দেখানো হয়। 

মূল প্রবন্ধটিতে করোনাকালিন মানবপাচার নিয়ে বর্তমান চিত্র তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে করোনা মহামারির সময়ে সাড়ে ৩ লাখ পুরুষ ও ৫০ হাজার নারী বাংলাদেশি অভিবাসীকে জোর করে ফেরত পাঠানো হয়। ফিরে আসা বাংলাদেশিদের ৭০ শতাংশের দেশে ফিরে কাজ খুঁজে পেতে কষ্ট হয়েছে। তাঁরা ঋণে জর্জরিত। 

তিনটি রুটে বাংলাদেশিরা পাচার হয়ে থাকে। রুটগুলো হলো- বাংলাদেশ-তুরষ্ক-লিবিয়া-ইউরোপ, বাংলাদেশ-ভারত/শ্রীলংকা-লিবিয়া-ইউরোপ এবং বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাত-জর্ডান-লিবিয়া-ইউরোপ। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে এসব রুটগুলোতে যাওয়া বাংলাদেশিদের অনেককেই ভূ-মধ্যসাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। করোনার কারণে মানবপাচারের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। করোনায় বাংলাদেশি যারা ইউরোপে উন্নত জীবনের জন্য অধিবাসী হতে চান, তাঁদের কারণে মানবপাচারকারিদের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। এ ছাড়া করোনায় জীবিকার সংকটে নারী ও শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনও বেড়ে গেছে। মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে বাল্য বিবাহ বেড়ে গেছে।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর