যে আসনে কখনোই জয় পায়নি নৌকা


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২১, ০৮:১৭ এএম
যে আসনে কখনোই জয় পায়নি নৌকা

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে কখনো জয়লাভ করতে পারেননি আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবারই সেখানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ বিরোধী কেউ। দলের একাধিক প্রার্থী থাকায় এবারও জয় নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

তৃতীয় ধাপে আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মাঝে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ২ জন।

নির্বাচন ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে পৌর এলাকার বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা ও গ্রাম এলাকা। প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাইছেন। তবে প্রার্থীদের মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রচারণায় বাধা দেয়াসহ নানান অভিযোগও রয়েছে।

মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান আলী, নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র জাহিদুল ইসলাম এবং অপর বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সহিদুজ্জামান সেলিম মোবাইল প্রতীক নিয়ে এবং বিএনপি মনোনিত ধানের শীষ প্রতীকে সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সালাহউদ্দীন বুলবুল সিডল।

আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী সহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগই চায়নি যে দলীয় কেউ মেয়র হোক। এখানে যোগ্য নেতৃত্বের যেমন অভাব রয়েছে, তেমনি নেতাকর্মীরা সব সময় দ্বিধার মধ্যে থাকে। যারা আগে সংসদ সদস্য ছিলেন এবং বর্তমানে আছেন তারা দলকে সংগঠিত করতে পারেনি। এতে দলের পক্ষে যেই দাঁড়ায়, সেই পরাজিত হয়।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহাজাহান আলী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে আগামীতে সুন্দর একটা পৌরসভা উপহার দিতে ভোটাররা আমাকেই বেছে নেবে। জনগণের ভোটে ইনশাল্লাহ আমিই জয়ী হবো।’

নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি ধর্ষণের মামলা হয় ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে। এই মামলায় স্থানীয় নার্সিং হোম মালিক আজাদ এবং আরো ৩ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া পৌর কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের বেতন ভাতা না দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে কথা বলতে কোটচাঁদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যস্ত আছি। নেতাকর্মীদের ধরপাকড় হচ্ছে, আমরা থানায় আছি। পরে ফোন দিয়ে কথা বলেন।’ কিন্তু পরে তিনি আর ফোন ধরেননি।

কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর মিলিয়ে গঠিত ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আজম খান চঞ্চল জাগো নিউজকে জানান, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা মার্কার জন্য প্রার্থী চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছেন। আমরা সকলেই চেষ্টা করছি সেই প্রার্থীকে বিজয়ী করতে। দলের একাধিক নেতাকর্মী বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে থাকায় নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রে চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। আবার বিএনপির একাংশ বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঘাড়ে ভর করছে।’

জাতীয় বিভাগের আরো খবর