কমছে পেঁয়াজের দাম, বাড়ছে চালের


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৫:১৩ পিএম
কমছে পেঁয়াজের দাম, বাড়ছে চালের

রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দুদিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে দাম কমেছে ৭০-৮০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা। নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। আমদানি করা চায়না পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়। 

তবে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও এখনও পুরোপুরি প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। সোমবার রাজধানীর মতিঝিল, খিলগাঁও, মুগদা, সেগুনবাগিচা, ধানমন্ডি এলাকার বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছে ২০০-২২০ টাকা। আমদানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা। আর নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ও বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, ইতোমধ্যে বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। সংকট মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে। পাশাপাশি পেঁয়াজের কারসাজিকারীদের ধরতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। এসব কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমছে। দাম কমার এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েকদিনে মধ্যে বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

অন্যদিকে পেঁয়াজের পর এবার চালের দামও বাড়তে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা।

রাজধানীতে দাম বাড়ার আগে কুষ্টিয়া ও নওগাঁতেও চালের দাম কেজিতে ৫-৭ টাকা করে বাড়ে। কুষ্টিয়ায় কিছুদিন আগে যে মিনিকেট চালের দাম ছিল ৩৮ টাকা, এখন সেই চালের দাম ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা হয়েছে।

একই হারে কুষ্টিয়ায় বেড়েছে কাজললতা চালের দামও। ৩২ টাকা থেকে বেড়ে ৩৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে কাজললতা চাল। তবে আটাশ চালের দাম তেমন একটা না বাড়লেও প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৩ টাকায়।

উত্তরাঞ্চলের ধান-চালের সবচেয়ে বড় মোকাম নওগাঁতে কিছুদিন আগে ৩৬ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া জিরাশাইল’র দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আটাশ চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়ে ৩৪-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা ৩০ টাকা, কাটারিভোগ ৫০-৫২ টাকা, পাইজাম ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রকারভেদে মোটা চালের দাম কেজিতে দুই টাকা বেড়েছে।

হঠাৎ করে চালের দাম বাড়ার জন্য খুচরা ব্যবসায়ীরা মিল মালিকদের দায়ী করছেন। তারা বলছেন, মিল মালিকরা দাম বাড়ানোর কারণে তারা বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশেষ করে রশিদের মিনিকেটের দাম বাড়ানোর কারণে, সবাই চালের দাম বাড়িয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে কার্যকর নজরদারি না থাকার কারণে একের পর এক নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট চালের দাম বস্তায় (৫০ কেজি) বেড়েছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এক সপ্তাহ আগে ৪২-৪৪ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মিনিকেট চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়। নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি।

চিকন চালের পাশাপাশি বেড়েছে মোটা চালের দামও। এক সপ্তাহ আগে ৩৪-৩৬ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আটাশ চালের দাম বেড়ে হয়েছে ৩৮-৪০ টাকা। ৩০-৩২ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া স্বর্ণা চালের দাম হয়েছে ৩৪-৩৬ টাকা।

খুচরার পাশাপাশি দাম বেড়েছে পাইকারিতেও। পাইকারিতে প্রতিবস্তা মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ২২৫০-২৩০০ টাকায়। আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫০-১৮০০ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ২৩৫০-২৭০০ টাকায়।

গো নিউজ২৪/আই

জাতীয় বিভাগের আরো খবর