‘নতুন পেঁয়াজ এখনো ওঠেনি, দাম কমতে একটু সময় লাগবে’


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০১৯, ০৬:৪৫ পিএম
‘নতুন পেঁয়াজ এখনো ওঠেনি, দাম কমতে একটু সময় লাগবে’

চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ কম উৎপাদন ও ভারত রফতানি বন্ধ করায় হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সংসদে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হূমায়ুন সংসদকে এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টন। আর গত বছর পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ২৩ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিক টন। তার মধ্যে ৩০ শতাংশ সংগ্রহকালীন এবং সংরক্ষণকালীন ক্ষতি বাদ দিলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ৩১ লাখ মেট্রিক টন। যা দিয়ে চাহিদা মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়।

তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ বিশেষ করে ভারত থেকে প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্রে বন্যা হওয়ার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এতে তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারেও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়া ভারত সরকার গত ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রফতানি মূল্য প্রতি টন ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করেছে। যা পূর্বে প্রতি মেট্রিক টন ছিল ২৫০-৩০০ ডলার। সে দেশে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজের রফতানি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার উর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। এছাড়া বিশ্ব বাজারে রসুনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে।

মন্ত্রী জানান, পেঁয়াজ রসুনের দাম ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে প্রতিদিন ৪টি করে মোট ২৮টি মনিটরিং টিম ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে মূল্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া টিসিবি’রি ডিলারদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ঢাকা মহানগরীতে ৩৫টি পয়েন্টে ন্যায্য মূল্যে ট্রাক সেলের মাধ্যমে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে।

এছাড়া মিশর ও তুরস্ক হতে পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রতিষ্ঠিত আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। 

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমানের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রীর পক্ষে শিল্পমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের একটা সংকট ছিল, হঠাৎ করেই আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বন্যার কারণে সেখানে পেঁয়াজের বাজার কিছুটা গরম হয়ে যায়। পরে আমরা অতিসত্ত্বর সেগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। এই সিজনের পেঁয়াজ এখনো ওঠে নাই। সেখানেও (ভারতে) উঠতে একটু সময় লাগবে। তার মধ্যে মিয়ানমার থেকে বিশেষ করে তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা করছি।

গো নিউজ২৪/আই

জাতীয় বিভাগের আরো খবর