গ্যাসের দাম বাড়লে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়ে: বিইআরসি চেয়ারম্যান


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০১৯, ০৮:৪৮ পিএম
গ্যাসের দাম বাড়লে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়ে: বিইআরসি চেয়ারম্যান

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম।

তিনি বলেন, গ্যাস বিতরণ কোম্পানি যা-ই প্রস্তাব করুক না কেন দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যৌক্তিক পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে।

বৃহস্পতিবার বিইআরসিতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আবেদনের ওপর শুনানিতে শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সবার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছি। নোটও করা হয়েছে। কমিশন পুরোপুরি স্বাধীন। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে বিচার-বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে। তবে আমরা কখনও কাউকে সন্তুষ্ট করতে পারিনি। দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবে ভোক্তাদের ওপর চাপ বেড়ে যায়। সে কারণে তারা স্বাভাবিক কারণেই অসন্তুষ্ট হন। গণশুনানিতে অনেকগুলো সুপারিশ এসেছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে বলব বিষয়টি দেখার জন্য।

তিনি বলেন, আপনারা যদি অতীতের দিকে তাকান তবে দেখবেন কোম্পানি যাই বলুক যৌক্তিক পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়েছে। ২০১৭ সালে ৯৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল, বিইআরসি ১১ শতাংশ বাড়িয়েছিল। ২০১৮ সালে ৭৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিপরীতে কোনো দাম বাড়ানো হয়নি।

বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমি বিতরণ কোম্পানিগুলোকে অনুরোধ করব যেন সঠিক পরিমাণে প্রস্তাব করে। কথায় আছে এলএমজি চাইলে কমপক্ষে পিস্তল তো পাওয়া যাবে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই।

উল্লেখ্য, দেশে গত ১০ বছরে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে ৬ বার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ক্যাপটিভ ও যানবাহনের সিএনজির দাম।রান্নাঘরে যাদের গ্যাসের চুলা একটি, তারা এখন মাসে বিল দেন ৭৫০ টাকা। যাদের বাসায় দুই চুলা, তারা বিল দেন ৮০০ টাকা।নতুন প্রস্তাবে দুই চুলা ১ হাজার ৪৪০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। এক চুলার ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত দর ১ হাজার ৩৫০ টাকা। ২০০৮ সালের এপ্রিলে প্রতি ঘনমিটার সিএনজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ টাকা ৭৫ পয়সা। এখন তা ৪০ টাকা, যা বাড়িয়ে ৫৪ টাকা করার কথা বলা হয়েছে।

গো নিউজ২৪/আই

জাতীয় বিভাগের আরো খবর