ঢাকা: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংশয় সব মহলে। যদিও ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- কেউ নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। বর্তমান সরকারের অধীনেই সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আভাস দেয়া হচ্ছে নির্বাচনকালীন ছোট মন্ত্রিপরিষদ গঠন ও সংযোজন-বিয়োজনের।
অন্যদিকে ১২ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি বলছে, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে শেখ হাসিনার অধীনে এ দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না। সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বড় প্লাটফর্ম জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের তরফে উত্থাপন করা হয়েছে ৭ দফা দাবি। কিন্তু এর কোনোটিই মানতে রাজি নয় সরকার।
এদিকে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে ইইউকে চিঠি দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়। তার জবাবে ইইউ জানায়, তারা নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। তবে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচনের প্রস্তুতি জানতে দুইজন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ পাঠাবে সংস্থাটি।
অবশ্য ইইউ’র পর্যবেক্ষক না পাঠানোর বিষয়টিকে বড় করে দেখছে না ইসি। তারা জানিয়েছে, আইন ও বিধি মেনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের তারা স্বাগত জানাবে। তবে তারা পর্যবেক্ষণ করতে আসার জন্য কাউকে প্রভাবিত করবে না কমিশন।
২০০৮ সালে ইইউ’র প্রায় ৮০০ সদস্যের পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে। তারা শুধু নির্বাচনের দিনই নয়, নির্বাচনের আগে ও পরে বেশ কিছুদিন বাংলাদেশে থেকে এই পর্যবেক্ষণের কাজ করেন। কিন্তু ২০১৪ সালে সংস্থাটির পক্ষ থেকে কেউ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে আসেননি। এবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইইউ পর্যবেক্ষকরা আসবেন না বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
ইইউ ব্রাসেলস কার্যালয় থেকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বেলজিয়ামে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে এক চিঠিতে (নোট ভারবাল) জানানো হয়েছে, ইইউ বাংলাদেশের এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষণ মিশন নিয়োজিত করবে না। কিন্তু দুই সদস্যের একটি ইলেকশন এক্সপার্ট দল পাঠানো হবে। যারা নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করবেন এবং রিকমেন্ডেশন দেবেন।
ইতিমধ্যেই ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। জানা গেছে, কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দল না পাঠানোর সিদ্ধান্তে ইইউ’র অবস্থানের কথা তুলে ধরেছেন তারা। সাক্ষাৎকালে ইইউ-এর পক্ষ থেকে আগে পাঠানো চিঠিও ইসিকে সরবরাহ করা হয়েছে।
গো নিউজ২৪/এমআর