মেয়র আনিসুল হক তিন ঘণ্টা পর মুক্ত,পরিস্থিতি স্বাভাবিক


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০১৫, ০৮:১৮ পিএম
মেয়র আনিসুল হক তিন ঘণ্টা পর মুক্ত,পরিস্থিতি স্বাভাবিক

তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে গিয়ে শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে অবরুদ্ধ ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক তিন ঘণ্টা পর মুক্ত হয়েছেন। রোববার দুপুরে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডে অভিযানকালে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের পর বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়নের কার্যালয়ে যান ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক। সেখান থেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

ঘণ্টা তিনেক পর মেয়র বেরিয়ে এসে হ্যান্ডমাইকে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের উদ্দেশে কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘এটা ছোট্ট একটা সমস্যা। এখানে রাস্তায় ট্রাক পার্কিং না করে ভেতরে টার্মিনাল বানাবো আমরা। রাস্তার উপরের ট্রাকগুলো ভেতরে ঢুকবে। আপনারা জানেন চারজন মন্ত্রী এসে এখানে কথা বলেছেন, এটা রেলওয়ের জায়গা, এটা ক্লিয়ার করে দেন। এখানে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর পুরাতন গাড়ি রাখা হয়, রিপেয়ার করা হয়, এটা ভালোভাবে ইউজ করা যাচ্ছিল না। আমরা দুই মাস ধরে এটা নিয়ে কথা বলছি। আজ মালিকপক্ষ বলেছেন এটা আমাদের ক্লিয়ার করে দেন। আমরা ভালো টার্মিনাল বানাবো।’

তিনি আরো বলেন, ‘আপনাদের এখানে যারা অবৈধভাবে দখল করে আছেন তারা এটা ক্লিয়ার করে দেন। এটা আপনাদের জন্য, আমরা জন্য নয়। আপনাদের গাড়ি যাতে চলতে পারে, গাড়ি যাতে সিএনজিতে যেতে পারে। আপনাদের জন্য একটি ভালো ট্রাক টার্মিনাল বানাবো। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

বিক্ষোভের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন শ্রমিক আহত হওয়ার ব্যাপারে মেয়র বলেন, ‘একটা ছেলেকে ইট মারা হয়েছে। আপনারা অনেকেই তার সাথে কথা বলেছেন। আমি আপনাদের নগরপিতা এ দায়িত্ব আমার। আমরা আপনাদের সাহায্য করতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছেন। আপনারাই আমাকে ভোট দিয়ে নগরপিতা বানিয়েছেন। ভয় করলে চলবে না।’

 

এর আগে দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওতে ট্রাক উচ্ছেদ অভিযান চলার সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়ন অফিসের ভেতর অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া।


প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উচ্ছেদ অভিযানের এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন উচ্ছেদকারীদের ওপর ইট পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে।  আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মেয়রকে নিরাপত্তা দিতে ও আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ছুড়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। রাবার বুলেটে এক ট্রাক চালক আহত হন।পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। স্থানীয় লোকজন মেয়রকে ঘিরে রেখেছিল।বাইরে মেয়রের প্রটোকলের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। 

 

এস এ

 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর