যা থাকছে বাংলাদেশ ভবনে


নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৫, ২০১৮, ০৫:৫৪ পিএম
যা থাকছে বাংলাদেশ ভবনে

শুক্রবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বাংলাদেশ ভবনটির উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। দুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠানে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ভবনটি তৈরির জন্য অর্থ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

কী আছে সেই ভবনে এই নিয়ে বিবিসি বিস্তারিত প্রতিবেদন বলা হয়েছে, অত্যাধুনিক দোতলা এই ভবনটিতে আছে একটি মিলনায়তন, জাদুঘর এবং গ্রন্থাগার। এর মধ্যে অনেক বই রবীন্দ্রচর্চা এবং রবীন্দ্র গবেষণা ভিত্তিক, যা ভারতে সহজলভ্য নয়।

এক নজরে বাংলাদেশ ভবনের নজরকাড়া সামগ্রী:

জাদুঘরটি চালু হচ্ছে প্রায় ৪০০০ বর্গফুট এলাকা নিয়ে। পরে এটিকে আরও বড় করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল গ্রন্থাগার৷ সেই গ্রন্থাগারের জন্য বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে প্রায় ৩৫০০ বই। রয়েছে অনেকগুলি ইন্টার অ্যাকটিভ, টাচ স্ক্রিন কিয়স্ক। ছাপানো বই ছাড়াও ডিজিটাল বইও পড়তে পারবেন পাঠকরা।

বাংলাদেশের প্রত্ন সামগ্রী ভবনটির অন্যতম আকর্ষণ৷ প্রত্নবিদ্যা ও ইতিহাসের গবেষণাকারীদের এই বিভাগটি বিশেষ কাজে লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷

এখানে আছে ২৫০০ হাজার বছর পুরনো সভ্যতার নিদর্শন৷ এছাড়া আছে ৬ষ্ঠ-৭ম শতকের পোড়ামাটির কাজ, ১৬শ শতকের নকশাখচিত ইট প্রভৃতি।

বাংলাদেশের উয়ারি বটেশ্বরে মিলেছে এই প্রত্নসামগ্রী৷ পাহাড়পুর, মহাস্থানগড়ের নানা নিদর্শন, দেবদেবীদের মূর্তি। কোনটা পোড়ামাটির, কোনটি ধাতুর তৈরি৷ এছাড়াও থাকছে সুলতানি এবং ব্রিটিশ শাসনের সময় নিয়ে বিভাগ৷

ভারত স্বাধীন ও পাকিস্তান গঠিত হওয়ার পর পূর্ব পাকিস্তানের সময়টি নিয়েও থাকছে রকমারি তথ্য ও ছবির সংগ্রহ৷ এর সঙ্গেই থাকছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ৷ পাকিস্তান থেকে ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশ তৈরি হওয়ার রক্তাক্ত স্বাধীনতার লড়াই ও ভারতের অবদান নিয়ে বিশেষ গ্যালারি৷

এছাড়াও বাংলাদেশ ভবনের অন্যতম আকর্ষণ রবীন্দ্রনাথকে তাদের সংগ্রহশালা৷ রবীন্দ্রনাথ নিয়ে রয়েছে সম্পূর্ণ পৃথক একটি বিভাগ।

পূর্ববঙ্গের সাজাদপুর, শিলাইদহ, পতিসরের কাছারিবাড়ির ছবি, সেখানে কবির ব্যবহৃত নানা সামগ্রী দিয়ে সাজানো রয়েছে জাদুঘরের এই অংশটি। আছে রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর থেকে আনা বেশ কিছু মুদ্রা।

অন্যতম আকর্ষণ ভাষা আন্দোলন: এই বিভাগ শুরু হয়েছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে।বিভিন্ন ছবিতে ধরা রয়েছে ১৯৫২-র ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে পাকিস্তানি সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে ঐতিহাসিক মিছিল হয়েছিল, সেখানে গুলি চালানোর ঘটনা৷ আর আছে ভাষা শহীদদের প্রসঙ্গ।

গো নিউজ২৪/এমআর

জাতীয় বিভাগের আরো খবর