সুস্থ ছিলেন ক্যাপ্টেন আবিদ, ত্রুটি ছিল না বিমানেও


প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০১৮, ০২:৩৬ পিএম
সুস্থ ছিলেন ক্যাপ্টেন আবিদ, ত্রুটি ছিল না বিমানেও

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-২১১ ফ্লাইটের উড়োজাহাজে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না। এছাড়া পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের সিইও ইমরান আসিফ।

তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন। তার অবসাদগ্রস্ত হওয়া কিংবা জোর করে পাঠানোর বিষয়টি অবান্তর।

ইমরান আসিফ বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ছবি প্রকাশ করে। বলা হয়েছে, বিমানটি পুরনো ছিল, পাইলটকে জোর করে পাঠানো হয়েছে, তিনি অবসাদগ্রস্ত ছিলেন- এসব তথ্য সঠিক নয়।

প্লেন দুর্ঘটনার বিষয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বলেছে, একটি ফ্লাইটকে দেওয়া ল্যান্ডিং ক্লিয়ারেন্স (অবতরণের অনুমতি) বাতিল না করেই অন্য ফ্লাইটকে অবতরণ বা উড্ডয়ন করতে দেওয়া আন্তর্জাতিক নিয়মের ব্যত্যয়। তাছাড়া, দুর্ঘটনার দুই মিনিটের মধ্যে উদ্ধারকর্মীরা গেলে হতাহতের সংখ্যা কম হতো। 

ইমরান আসিফ বলেন, দুর্ঘটনার এক মাস পর নেপাল সিভিল এভিয়েশন অথরিটি প্রাথমিক একটি তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ওই তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার দুই মিনিটের মধ্যেই উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিনির্বাপণ কাজে নিয়োজিত হন। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত প্লেনযাত্রীদের কাছ থেকে আমরা যা জেনেছি, তাতে আমাদের ধারণা যে প্রকৃতভাবেই দুই মিনিটের মধ্যে উদ্ধারকর্মীরা নিয়োজিত হয়ে থাকলে হতাহতের সংখ্যা হয়তো কম হতো।

 ইতোমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে আপনারা জেনেছেন দুর্ঘটনার আগে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে পাইলটকে বিভ্রান্তিকর নির্দেশনাবলী দেওয়া হয়েছিল। সেই টাওয়ার থেকে ইউএস-বাংলার বৈমানিকদের ল্যান্ডিং ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার পর সেই ক্লিয়ারেন্স বাতিল না করেই এয়ারক্রাফটটিকে অন্যত্র হোল্ডিং করতে বলা হয় এবং একই সময় অন্য এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট অবতরণ করতেও দেওয়া হয়।

ইউএস-বাংলার সিইও বলেন, একটি ফ্লাইটকে দেওয়া ল্যান্ডিং ক্লিয়ারেন্স বাতিল না করেই অন্য ফ্লাইটকে অবতরণ বা উড্ডয়ন করতে দেওয়া আন্তর্জাতিক নিয়মের ব্যত্যয় বলে আমরা জানি।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট আবিদ সুলতান ও কো-পাইলট পৃথুলা রশিদসহ ৫১ যাত্রী নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি। এ দুর্ঘটনায় আহত হন ১০ বাংলাদেশি।

গো নিউজ২৪/এমআর

জাতীয় বিভাগের আরো খবর