কোটা আন্দোলনে গুজব : কড়া নজরদারিতে ১০ আইডি


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০১৮, ০২:৫৯ পিএম
কোটা আন্দোলনে গুজব : কড়া নজরদারিতে ১০ আইডি

ঢাকা : কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুজব ছড়ানোয় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের অ্যাকাউন্টসহ ৩০টি একাউন্টকে বিভ্রান্তির ছড়ানোয় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থান নিশ্চিত হবার পর তাদের নজরদারিতে আনা হয়েছে।

অন্দোলনে এ শিক্ষার্থীর মৃত্যু এবং কবি সুফিয়া কামাল হলে ছাত্রীর রগ কাটার গুজব ছাড়ানোয় ২০০টি ফেসবুক আইডি’র তালিকা করেছে পুলিশ। এর মধ্যে থেকে প্রথমে গুজব ছড়ানো ১০ টি আইডি পুলিশের কড়া নজরদারিতে রয়েছে।

ঘটনায় তদন্ত সংশ্লিষ্ট ডিএমপি’র সাইবার ক্রাইম বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু প্রকৃত অপরাধীদের ধরতেই পুলিশ আরও সময় নিচ্ছে। সম্পূর্ণ তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণের ভিত্তিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মৃত্যু ও রগ কাটার গুজব রটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হবে। তাদের ধরতে ইতোমধ্যে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) এর কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত নেয়া হয়েছে। ওই সব ব্যবহারকারীর বিস্তারিত তথ্য চেয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে।

ওইসব আইডির ব্যবহারকারীদের নাম, মোবাইল নাম্বার ও মেইল অ্যাড্রেসসহ বিস্তারিত তথ্য চেয়ে ফেসবুকের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। বিটিআরসি’র কাছ থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে। এসব আইডি কার নামে কোন ফোন থেকে ব্যবহার কারা করছে তা জানতে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) এর তথ্য নেয়া হচ্ছে। 
 
পুলিশ বলছে, ওই দিন বেলা ১১টা ৫৪ মিনিটে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেয়া হয় যে, ‘আবু বকর নামে এক শিক্ষার্থী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। এরপর আন্দোলন ভিন্ন রূপ নেয়। আরও বেশ কিছু আইডি থেকে একই ধরণের বিভ্রান্তি ছড়নো হয়। যদিও এর আগে ওই সব ফেসবুক আইডি থেকে শুধু কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেয়ার জন্য ডাক দেয়া হয়েছিল। ওই সব ডাক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে পুলিশ সবসময় সম্মান জানায়। কিন্তু প্রোপাগান্ডাকে প্রশ্রয় দেয় না।

পুলিশ কর্মকর্তারা আরও বলেন, ওই প্রোপাগান্ডার পর আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে ঢাবি উপাচার্যের বাসায় হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়। ওই রাতটি ছিল আতঙ্কের রাত। ভিসির বাস ভবনে এক রকম তাণ্ডব চালানো হয়। যদিও পরে জানা যায়, ওই রাতে আবু বকর মারা যায়নি। এরপর আন্দোলনের মধ্যেই পরদিন রাতে এক ছাত্রলীগ নেত্রী কর্তৃক আরেক ছাত্রীর রগ কাটার গুজব ছড়ানো হয়। পরে জানা যায়, রগ কাটার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

কোটা সংস্কারের দাবিতে চলা আন্দোলনের সময় ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য প্রচার, মৃত্যু ও রগ কাটার গুজব ছড়ানো এবং উসকানিমূলক তথ্য প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে গত ১১ এপ্রিল তথ্যপ্রযুক্তি আইনে (আইসিটি) ডিএমপির সাইবার ক্রাইম বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) এস এম শাহজালাল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে কারও নাম-ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। তবে মামলায় কোটা আন্দোলন নিয়ে গুজব ছড়ানো বিভিন্ন ফেসবুক আইডির নাম ও পোস্ট সংযুক্ত করা হয়েছে।

 

গো নিউজ২৪/আই

জাতীয় বিভাগের আরো খবর