দুপুরে ঢাকায় পৌঁছবে ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০১৮, ০৯:১২ এএম
দুপুরে ঢাকায় পৌঁছবে ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ

নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে প্লেন দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২৩ মরদেহ ঢাকায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এয়ারফোর্সের একটি প্লেনে করে তাদের পাঠানো হবে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস জানিয়েছেন, এয়ারক্রাফট যতদ্রুত পৌঁছাবে তত দ্রুতই মরদেহ ঢাকায় পৌঁছানো হবে। আশাকরি দুপুর ২টা নাগাদ মরদেহ ঢাকায় পৌঁছবে।

অবশিষ্ট তিন মরদেহ শনাক্ত হওয়া সাপেক্ষে শিগগিরই দেশে পাঠানো হবে।

উড়োহাজার দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার, শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন, এফএইচ প্রিয়ক, উম্মে সালমা, বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান, পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।

এছাড়া কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাওয়া ৬ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল (রোববার) বিকেলে আহত শাহীন বেপারীকে দেশে ফিরেয়ে আনা হয়।

এর আগে শেহরিন আহমেদ, কামরুন্নাহার স্বর্ণা, মেহেদী হাসান, আলমুন্নাহার অ্যানি ও রাশেদ রুবায়েত দেশে ফেরত আনা হয়েছে। তারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ (সোমবার) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।

বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।

গো নিউজ২৪/এমআর

জাতীয় বিভাগের আরো খবর