দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনঅংশগ্রহণ কম : দুদক চেয়ারম্যান


নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮, ০৮:১২ পিএম
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনঅংশগ্রহণ কম : দুদক চেয়ারম্যান

ঢাকা : বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনঅংশগ্রহণ কম বলে জানালেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

রোববার দুপুরে দুদক কার্যালয়ে টিআইবির প্রকাশিত রিপোর্ট ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির প্রধান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দুর্নীতির নেপথ্যে আমরা সবাই। দুর্নীতি হচ্ছে, তবে প্রতিরোধ করতে পারছি না। দুর্নীতি দমন কমিশনও পারছে না, ব্যাপক জনগণের অংশগ্রহণও হচ্ছে না। তাই যে গতিতে বা যতটুকু কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করা দরকার ছিল, সেটুকু পারছি না।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির সূচকের বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের বাংলাদেশে অনেক দুর্নীতি। কোনো কোনো দেশে মাত্র এক পয়েন্ট কমেছে। দুই পয়েন্ট সম্ভবত ১০-১২টি দেশ। দুই পয়েন্ট কমানো এত সহজ বিষয় নয়। তবে আমি মনে করি আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই।

বড় বড় দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না দুদক- টিআইবি প্রধান ইফতেখারুজ্জামানের এমন মন্তব্যেরও প্রতিক্রিয়া দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টার সঙ্গে মোটেও একমত নই। দুর্নীতিবাজের মধ্যে বড়–ছোট বলে কিছু নেই। দুর্নীতিবাজ দুর্নীতিবাজই। বড়–ছোট বিভাজন করলে এটা খারাপ উদাহরণ হবে। সব দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া সঙ্গত। বড়–ছোট করলে কমবে না।

১৯৯৫ সাল থেকেই বার্লিনভিত্তিক টিআই দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রকাশ করে আসছে। ২০০১ সালে বাংলাদেশ প্রথম এই সূচকের অন্তর্ভুক্ত হয়। আর প্রথম বছরেই ০.৪৩ (বর্তমান মানদণ্ডে ৪.৩) স্কোর নিয়ে তালিকায় সবার তলানিতে পড়ে বাংলাদেশ। আর বিশ্বের সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তকমা লাগায় সে সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে তোপের মুখে পড়তে হয়। যদিও সে বছরই ক্ষমতায় আসা বিএনপির চার বছরেও সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্থ দেশের লজ্জায় পড়তে হয় বাংলাদেশের।

আর ২০০৬ সালে বিএনপির শাসনামলের শেষ বছরেই বাংলাদেশ এই লজ্জা থেকে বের হয়ে আসে। আর গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা সবশেষ প্রতিবেদন অনুসারে এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৭তে। আর এক বছরে বাংলাদশের স্কোর দুই পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮এ।

 

গো নিউজ২৪/আই

জাতীয় বিভাগের আরো খবর