কূটনীতিকদের প্রশ্নে বিব্রত বিএনপি নেতারা!


নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮, ১১:২৬ এএম
কূটনীতিকদের প্রশ্নে বিব্রত বিএনপি নেতারা!

ঢাকা : দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবরণসহ বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিদেশি কূটনীতিকদের জানালো বিএনপি।

মঙ্গলবার বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা আসেন গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, ড. মঈন খান সহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। 

বিএনপি বেগম জিয়ার মামলা, তার গ্রেফতার এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। এরপর বিভিন্ন কূটনীতিকরা কিছু প্রশ্ন করেন। 

বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে মার্কিন দূতাবাস থেকে এসেছিলেন তিনজন প্রতিনিধি। বিএনপি নেতৃবৃন্দের ব্রিফিং শেষে, তাদের মধ্যে একজন জানতে চাইলেন বেগম জিয়া গ্রেফতার হবার পর তারেক জিয়াকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হলো কেন?

উত্তরে বিএনপি মহাসচিব জানালেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পর তিনিই সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালনে অপরাগ হলে, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানই দলের দায়িত্ব নেন।

এরপর অন্য এক মার্কিন কূটনীতিক পাল্টা প্রশ্ন করেন তারেকও তো আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত, তিনি তো দেশেও নেই ? এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল একটু বিব্রত হন। এরপর আসতে থাকে বিভিন্ন তারেক কেন্দ্রিক প্রশ্ন। তারেক কেন লন্ডনে থাকছেন, কেন ট্রায়াল ফেস করছে না ইত্যাদি। 

সব শেষে ভারতের কূটনীতিক প্রশ্ন করেন আদালত যদি কাউকে দুর্নীতিবাজ ঘোষণা করে, তবে কি সে বিএনপি করতে পারবে? উত্তরে ড. মঈন খান বলেন না, এটা করা উচিত না। ভারতীয় কূটনীতিক প্রশ্ন করেন, তাহলে কেন বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হলো? বিএনপির কেউই এই প্রশ্নের উত্তর দেননি।

বৈঠকে বিএনপি নেতৃবৃন্দ খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে নির্বাচন না যাওয়ার সিদ্ধান্ত কূটনীতিকদের জানান।

উল্লেখ্য,  জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৫বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন মামলার বিচারক ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান।

মামলার অন্যান্য ৫ আসামীকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

সাজা প্রাপ্ত অন্য আসামীরা হলেন- সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান। মামলায় শুরু থেকে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।

রায়ে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেকের ২কোটি ১০লক্ষ ৭১ হাজার টাকা সমপরিমান জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে।

 

গো নিউজ২৪/আই

জাতীয় বিভাগের আরো খবর