আজ শুধু ভালোবাসার দিন


নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮, ০৮:৩০ এএম
আজ শুধু ভালোবাসার দিন

ঢাকা : ভালোবাসার আবার কোনো আলাদা দিন হয় নাকি ? না মনের মানুষকে ভালোবাসতে কোনো দিনক্ষণ লাগেনা। দিবসের মধ্যে বেঁধে রাখা যায়না ভালোবাসাকে। ভালোবাসা আজীবনের, সব সময়ের। তারপরেও ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি যেন একটু আলাদা ভাবেই ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আলাদা কিছু উপহার দিয়ে মনের ভালোবাসার ভাষা আর গভীরতা বুঝিয়ে দেওয়া। একটু আদরে আর নির্ভরতায় বলে দেওয়া যায় কতোটা ভালোবাসি।

ভালোবাসা কি শুধুই তরুণ প্রেমিক প্রেমিকার জন্যে? তাও নয়। সব সম্পর্কের মধ্যেই আলাদা আলাদা ভালোবাসা রয়েছে। দিনটি সকলেই কাছেই নিজের প্রিয় মানুষটির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের প্রতিক হয়ে জেগে আছে আজ। 

তবে যে কারণে এই দিনটি তা কী জানি আমরা। তাহলে যেনে নেয়া যাক দিনটির পেছনের কথা।

বাস্টার ব্রাউন ভ্যালেন্টাইন পোস্টকার্ড, রিচার্ড ফেলটন আউটকাল্ট, ২০< শতাব্দী

ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেইটাইন'স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচার-অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাঁকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার ছিল নিষিদ্ধ। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেইটাইনের জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

কৃতিত্ব এর অভিবাদন কার্ডের জন্য বিজ্ঞাপন, ১৮৮৩

দিনটি ছিলো ২৬৯ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন'স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন' দিবস ঘোষণা করেন।

পাশ্চাত্যের ক্ষেত্রে জন্মদিনের উৎসব, ধর্মোৎসব সবক্ষেত্রেই ভোগের বিষয়টি মুখ্য। তাই গির্জা অভ্যন্তরেও মদ্যপানে তারা কসুর করে না। খৃস্টীয় এই ভ্যালেন্টাইন দিবসের চেতনা বিনষ্ট হওয়ায় ১৭৭৬ সালে ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ভ্যালেইটাইন উৎসব নিষিদ্ধ করা হয়। ইংল্যান্ডে ক্ষমতাসীন পিউরিটানরাও একসময় প্রশাসনিকভাবে এ দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এছাড়া অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মানিতে বিভিন্ন সময়ে এ দিবস প্রত্যাখ্যাত হয়। সম্প্রতি পাকিস্তানেও ২০১৭ সালে ইসলামবিরোধী হওয়ায় ভ্যালেন্টাইন উৎসব নিষিদ্ধ করে সেদেশের আদালত। বর্তমানকালে, পাশ্চাত্যে এ উৎসব মহাসমারোহে উদযাপন করা হয়।

ভ্যালেন্টাইন পোস্টকার্ড, প্রায় ১৯০০–১৯১০

যুক্তরাজ্যে মোট জনসংখ্যার অর্ধেক প্রায় ১০০ কোটি পাউন্ড ব্যয় করে এই ভালোবাসা দিবসের জন্য কার্ড, ফুল, চকোলেট, অন্যান্য উপহারসামগ্রী ও শুভেচ্ছা কার্ড ক্রয় করতে, এবং আনুমানিক প্রায় ২.৫ কোটি শুভেচ্ছা কার্ড আদান-প্রদান করা হয়।

একটি ক্ষুদ্র ২-ইঞ্চি পপ-আপ ভ্যালেন্টাইন, প্রায় ১৯২০

পিছিয়ে নেয় বাংলাদেশেও। দিনটি পালিত হয়ে আসছে বেশ ঘটা করে। দিনটিকে ঘিরে সরকারি কোনো নিদের্শনা না থকলেও তরুণ-তরুণীদের মাঝে ব্যপক আগ্রহ লক্ষ করা যায় এ দিনে। বিশেষ করে বিবাহিত দম্পত্তি বা প্রেমিক যুগলের কাছে দিনটি যেন পাগলা হাওয়ায় ভেসে বেড়ানোর উন্মাদনা।

Children's Valentine, ১৯৪০–১৯৫০

গো নিউজ২৪/আই

জাতীয় বিভাগের আরো খবর