সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মন্ত্রী ছায়েদুল হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭, ১০:৪০ এএম
সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মন্ত্রী ছায়েদুল হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের প্রথম জানাজা সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছায়েদুল হকের জানাজা হয়। পরে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে নিজ নির্বাচনী এলাকা নাসিরনগরে। সেখানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে মারা যান ছায়েদুল হক। তিনি পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের সংসদ সদস্য ছায়েদুল হক দীর্ঘদিন ধরে জ্বর, ইউরিন ইনফেকশন ও শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছিলেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি অসুস্থতা নিয়ে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি হন।

বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ছায়েদুল হক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া আইন বিষয়ে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি দীর্ঘদিন আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে কাজ করেছেন।

ছায়েদুল হক ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৬ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ছয় দফায় অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি স্বাধীনতা-আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতের ত্রিপুরায় অবস্থিত লেম্বুছড়া প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে দেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর একাধারে সপ্তম থেকে দশম সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। সংসদীয় কাজে তাঁর অভিজ্ঞতা ব্যাপক। সপ্তম ও নবম সংসদে তিনি খাদ্য ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন সময়ে বাণিজ্য, অর্থ, সরকারি তহবিল ও বিশেষ বিষয়-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দশম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেন।

গো নিউজ২৪/এবি

জাতীয় বিভাগের আরো খবর