সিপিএ সম্মেলনে গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে উদ্যোগ থাকবে


নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭, ০৯:৩৩ পিএম
সিপিএ সম্মেলনে গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে উদ্যোগ থাকবে

ঢাকা: আগামী ১ নভেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় অনুষ্ঠেয় কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) সম্মেলনে বাংলাদেশের ওপর পাকিস্তানের চালানো গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উদ্যোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সম্মেলনে পাকিস্তানও অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্পিকার। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত  সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব তথ্য জানান। 

সিপিএ সেক্রেটারি জেনারেল আকবর খান বলেন, "যদিও রোহিঙ্গা ইস্যুটি আমাদের এজেন্ডায় নেই, তবে আমি নিশ্চিত, বিষয়টি জীবন্তভাবেই সম্মেলনে উঠে আসবে। রোহিঙ্গাদের ‌ওপর নির্যাতন, দুর্দশা চলছে- তা সদস্য রাষ্ট্রের কেউ না কেউ উত্থাপন করবেন। সম্মেলনে সদস্য রাষ্ট্রের প্রায় ৬০০ প্রতিনিধি যোগদান করবেন। বিষয়টি তাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যাবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

স্পিকার বলেন, "সম্মেলনকে সামনে রেখে সকল রিজিয়ন ও ব্র্যাঞ্চের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এজেন্ডার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।

এরপর নির্বাহী কমিটির সভায় এজেন্ডা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে এজেন্ডা চূড়ান্ত করা হয়। একই প্রক্রিয়ায় এই সম্মেলনের বিষয়গুলো ইতিপূর্বেই নির্ধারিত হয়েছে। তখন এই রোহিঙ্গা সমস্যা ছিল না। তবে 'জাতীয়তা' বিষয়ক একটি কর্মশালা রয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গা বিষয়টি প্রাসঙ্গিক। তাই সেখানে ইস্যুটি উত্থাপিত হতে পারে।

মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চালানো গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, "ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশ নেবে। কাজেই বাংলাদেশের কোনও বিষয়ের ওপর তারা যদি আলোকপাত কিংবা উত্থাপন করতে চান তাহলে সেই সুযোগ অবশ্যই তাদের রয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুর পাশাপাশি এই বিষয়েও আলোচনা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

পাকিস্তানের অংশগ্রহণ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে স্পিকার বলেন, "তারাও (পাকিস্তান) এ সম্মেলনে অংশ নিবে বলে আমরা আশা প্রকাশ করছি। কেননা তারা সম্ভবত নিবন্ধন করেছে। "

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সম্মেলনের প্রস্তুতি দেখতে ঢাকায় অবস্থান করছেন আকবর খান। সোমবার সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয়ে কমনওয়েলথভুক্ত সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত ও কনসাল জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রস্তুতি ও নিরাপত্তার বিষয়টি অবহিত করা হয়। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে 'কন্টিনিউয়িং টু এনহাঞ্চ দি হাই স্ট্যান্ডার্ড অব পারফরম্যান্স অব পার্লামেন্ট'।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সম্মেলন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন সিপিএ'র ভাইস প্যাট্রন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনে কমনওয়েলভুক্ত ৫২টি দেশের ১৮০টি জাতীয় ও প্রাদেশিক সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্যসহ প্রায় ৬০০ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিপিএ'র চিফ প্যাট্রন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। স্বাগতিক দেশের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

তবে পহেলা নভেম্বর সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হলেও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে ৫ নভেম্বর। 

সংবাদ সম্মেলনে সিপিএ চেয়ারপারসন বলেন, "আগে আমরা আইপিইউ সম্মেলনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছি। এবারের সম্মেলনও সফল করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। " 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ ইকবালুর রহিম ও জ্যেষ্ঠ সচিব আবদুর রব হাওলাদারসহ সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা।

গোনিউজ২৪/পিআর

জাতীয় বিভাগের আরো খবর