এক নজরে জাতির উদ্দেশে দেয়া সু চির ভাষণ (ভিডিওসহ)


আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭, ১২:৫২ পিএম
এক নজরে জাতির উদ্দেশে দেয়া সু চির ভাষণ (ভিডিওসহ)

এই প্রথমবার রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বললেন অং সান সু চি। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪ মিনিটে টেলিভিশনে তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন।

ভাষণে সু চি বলেছেন, যারা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে তাদের মধ্যে যারা পুনর্বাসনের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন যে কোনো সময় তাদের সঠিক অবস্থান যাচাই করবে মিয়ানমার। আন্তর্জাতিক চাপে ভীত নয় মিয়ানমার। মিয়ানমার সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। শান্তি না আসা পর্যন্ত সেনা অভিযান চলবে। আমরা শান্তি এবং ঐক্য চাই। যুদ্ধ চাই না।

সু চি আরো বলেন, এই সংকট তৈরি হওয়ার শুরু হওয়ার আগেই আমরা নিশ্চিত করেছিলাম যে, সবার জন্য সমৃদ্ধি নিশ্চিতের লক্ষ্যে রাখাইনে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। আমরা শান্তি এবং উন্নতি চাই। আমরা শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং দেশে আইন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি। এতো মুসলিম সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে কেন যাচ্ছে সেটা তদন্ত করব আমরা। আমরা তাদের জিজ্ঞেস করব যে তারা কেন এটা করছে।

সু চি বলেন, রাখাইনে অবস্থিত সব সম্প্রদায়ের দুঃখ-কষ্ট গভীরভাবে অনুভব করে মিয়ানমার। তিনি বলেন, আমরা শান্তি, স্থায়িত্ব এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মানুষ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের কাছে সমস্যার সমাধান চাচ্ছে। এই সংকট সমাধানে ১৮ মাস খুবই অল্প সময়।

সু চি বলেন, অধিকাংশ মুসলিমই রাখাইন থেকে পালাননি এবং সেখানে সহিংসতাও শেষ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, তার সরকার এই পরিস্তিতিতে কি করছে তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানাতে চান তিনি। সব ধরণের মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সু চি বলেন, রাখাইনে যে কোনো ধরনের নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের সম্মুখীন করা হবে।

সু চি বলেন, ‘আমরা সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বেআইনি সহিংসতার নিন্দা জানাই। আমরা আমাদের দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং আইনের শাসন পুণরুদ্ধারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ থেকে কোনো ধরনের সশস্ত্র সংঘর্ষ বা জাতিগত নিধনের মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি। অধিকাংশ মুসলিমই রাখাইনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মানে এটাই নির্দেশ করে যে পরিস্থিতি এতটাই তীব্র নয়।

উল্লেখ্য, গত আগস্টে বেশ কয়েকটি পুলিশ চেক পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইনে সেনা মোতায়েন করে মিয়ানমার। সেখানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায় সেনাবাহিনী। তাদের অত্যাচার থেকে বাঁচতেই দেশ থেকে পালিয়ে দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনের শামিল বলে উল্লেখ করেছে।

গো নিউজ২৪/এবি

জাতীয় বিভাগের আরো খবর