মওদুদের বাড়ি ভাঙতে আইনি বাধা নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০১৭, ০৬:৪১ পিএম
মওদুদের বাড়ি ভাঙতে আইনি বাধা নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের গুলশানের বাড়িটি ভাঙতে কোনো আইনি বাধা ছিল না বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

৩৬ বছর ধরে বসবাস করে আসার পর আইনি লড়াইয়ে হেরে গুলশান এভিনিউয়ের ১৫৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের একতলা বাড়িটির দখল হারানো মওদুদকে গত ৭ জুন উচ্ছেদ করার ১৭ দিনের মাথায় রোববার সকালে রাজউক ভবনটি ভাঙা শুরু করে।

পরে দুপুরে নিজের বাসায় অ্যাটর্নি জেনারেল এক সংবাদ সম্মেলন করেন।

এসময় রাষ্ট্রের এই প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, আপিল বিভাগ স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে- এই সম্পত্তিটা গ্রাস করার জন্য কাগজপত্রগুলো জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে তৈরি করা হয়েছে। উনি (মওদুদ) কিছু মামলা করেছেন, সেটা উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পরে। এই মামলার কারণে ভবনটি ভেঙে ফেলতে কোনো বাধা-নিষেধ নাই।

অন্যদিকে মওদুদ গুলশানে তার এক ফ্ল্যাটে সাংবাদিকদের বলেন, ওই বাড়ি ভাঙার কোনো আদেশ আদালত দেয়নি। ভাঙার বিষয়ে কোনো নোটিস দেয়া হয়নি। রাজউক যা করছে, তা গায়ের জোরে। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি।

গত ৭ জুন গুলশান ২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের ১৫৯ নম্বর প্লটের বাসাটি থেকে মওদুদ আহমদকে উচ্ছেদ করে রাজউক। কোনো পূর্ব ঘোষণা বা নোটিস ছাড়াই রাজউক তাকে ওই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করায় এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

রিটের আংশিক শুনানি শেষে আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত রিটের শুনানি মুলতবি করেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

বাড়িটির বিষয়ে আদালতে দুটি মামলা রয়েছে জানিয়ে মওদুদ বলেন, একটা রিট পিটিশন হাইকোর্টে বিচারাধীন আছে, আগামী ২ জুলাই শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। আরেকটা টাইটেল স্যুট ফাইল করেছি নিচের কোর্টে, সেটাও পেন্ডিং আছে শুনানির জন্য।

আদালতের বিচারাধীন অবস্থায় এ ধরনের অভিযান সম্পূর্ণভাবে আদালতের প্রতি চরম অবজ্ঞা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই আইনমন্ত্রী।

মওদুদের অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আদালতের রায়ের পর ওই বাড়ি এখন সরকারি সম্পত্তি। সুতরাং সরকার তা যেভাবে খুশি ব্যবহার করতে পারে, সেজন্য নোটিসের প্রয়োজন নেই।

আপিল বিভাগের রায়ের পর ওই সম্পত্তি এখন সরকারের এবং এ নিয়ে দ্বিধার কোনো অবকাশ নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা।


গো নিউজ২৪/এএইচ

জাতীয় বিভাগের আরো খবর