মোরার সর্বশেষ অবস্থা


স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: মে ৩০, ২০১৭, ০৯:০৩ এএম
মোরার সর্বশেষ অবস্থা

দুর্বল হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’।  আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কক্সবাজার ও খেপুপাড়া রাডার পর্যবেক্ষণ থেকে দেখা গেছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোরা উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে পড়েছে।

এটি বর্তমানে স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে রাঙামাটি ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয়  এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও আবহাওয়া অধিদফতরের ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে আজ রাত ৯টা পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে পরবর্তীতে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।  

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ জানান, আরো ১২ ঘণ্টা দেশে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করবে। এর ফলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। মোরা বাংলাদেশ অতিক্রম নাও করতে পারে। এটি দেশের ভেতরে নিস্ক্রীয় হয়ে যেতে পারে।

সামসুদ্দিন আহমেদ জানান, মোরা চট্টগ্রাম উপকূলে ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার বেগে টেকনাফে ১৩৫ কিলোমিটার বেগে ও সেন্টমার্টিনে ১১৪ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড় মোরা উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টায় কুতুবদিয়ার নিকট দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে।

এদিকে, মোরার প্রভাবে কক্সবাজারে সাগরের পানি বেড়েছে ৪-৫ ফুট। তলিয়ে গেছে উপকূলীয় কয়েকটি দ্বীপ। কক্সবাজারের টেকনাফ, শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিনে গাছপালা ও বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আতঙ্কে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

গো নিউজ ২৪/  এস কে 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর