সন্ধ্যার আগেই উপকূলবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশ


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট প্রকাশিত: মে ২৯, ২০১৭, ০৫:২৫ পিএম
সন্ধ্যার আগেই উপকূলবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশ

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ’মোরা’ এগিয়ে আসায় সরকার সব ধরনের প্রস্ততি গ্রহণ করেছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং করে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলীয় এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে।

সোমবার সচিবালয়ে এক জরুরি সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিবের দায়িত্বে থাকা এ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'সন্ধ্যার আগেই মানুষকে আশ্রয়ণ কেন্দ্র আনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সবাই সতর্ক আছেন। উপদ্রুত এলাকার মানুষের জন্য চাহিদা অনুযায়ী সকালেই খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। খাদ্যের কোনো সমস্যা হবে না।'

গোলাম মোস্তফা জানান, প্রত্যেক জেলা-উপেজেলায় সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন অধিদপ্তর এবং বিভাগেও আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বর: ৯৫৪০৪৫৪, ৯৫৪৫১১৫, ৯৫৪৯১১৬ ও ০১৭১৫১৮০১৯২।

ঘূর্ণিঝড় মোরার কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নদী বন্দরে ২ নম্বর সংকেত  দেখাতে বলা হয়েছে।

সোমবার দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার সকাল নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকুল অতিক্রম করতে পারে।


গো নিউজ২৪/এএইচ

জাতীয় বিভাগের আরো খবর