ভাস্কর্য অপসারণের পেছনে মূল যে কারণ


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট প্রকাশিত: মে ২৬, ২০১৭, ০৩:১১ পিএম
ভাস্কর্য অপসারণের পেছনে মূল যে কারণ

অবশেষে অপসারণ করা হলো দেশজুড়ে অনেক আলোচিত-সমালোচিত সুপ্রিম কোর্টের সামনে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত সেই ভাস্কর্যটি। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শুরু হয়ে অপসারণ কাজ শেষ হয় ভোরে।  

কিন্তু কী কারণে ভাস্কর্যটি অপসারণ হলো এ ব্যপারে  সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি শান্ত রাখতেই’ ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত ভাস্কর্য অপসারণ করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (বিচার ও প্রশাসন) সাব্বির ফয়েজ বলেন, ‘ভাস্কর্য অপসারণের বিষয়টি করা হয়েছে পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্যই। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভাস্কর্য সরানো হয়েছে। তবে এই ভাস্কর্য এখন কোথায় বসানো হবে বা তা দিয়ে আদৌ কী করা হবে, এসব বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের এই কর্মকর্তা।

গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শুরু হয়ে অপসারণ কাজ শেষ হয় ভোরে। এ সময় ভাস্কর্য অপসারণের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ক্ষুব্ধ জনতা। এর মধ্যেই ভাস্কর্যটি সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে পুনঃস্থাপন করা হতে পারে বলে দাবি করেছেন এর স্থপতি মৃণাল হক।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের সামনে ‘গ্রিক দেবীর মূর্তি’ স্থাপন করা হয়েছে—এমন দাবি করে এর অপসারণের দাবি করে আসছিল হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক নানা সংগঠন। এ বছরের রমজানের আগে ভাস্কর্য অপসারণের সময়সীমাও দিয়েছিল ওই সব সংগঠন।

হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফী এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়ে বলেছিলেন, তাঁর ভাষায় গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করে বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং ঐতিহ্যে আঘাত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্য সরানোর ব্যাপারে তাঁদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে, অপসারণের খবর পেয়ে মধ্যরাতেই সুপ্রিম কোর্টের গেটের সামনে জড়ো হন প্রতিবাদকারীরা। এ সময় আদালতের দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন তাঁরা।

 

গো নিউজ২৪/এএইচ

জাতীয় বিভাগের আরো খবর