কোথায় রাখা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্যটি?


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ২৬, ২০১৭, ১০:২৫ এএম
কোথায় রাখা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্যটি?

অবশেষে অপসারণ করা হলো সুপ্রিম কোর্টের সামনে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত ভাস্কর্য। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শুরু হয়ে অপসারণ কাজ শেষ হয় ভোরে।  তবে কোথায় রাখা হয়েছে এই ভাস্কর্যটি? সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে সরিয়ে নেয়া গ্রিক দেবীর ভাস্কর্যটি হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের ভেতর পানির পাম্পের পাশে রাখা হয়েছে। শুক্রবার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে একটি পিকআপ ভ্যানে ভাস্কর্যটি পানির পাম্পের পাশে রাখা হয়।

ভাস্কর্যটি তদারকির দায়িত্বে থাকা একজন জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে তৈরি ভাস্কর্যটি সরিয়ে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণের অ্যানেক্স ভবনের সামনে প্রতিস্থাপন করার কথা থাকলেও শুক্রবার তা পুনঃস্থাপিত হচ্ছে না।

তিনি জানান, ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে একটি পিকআপ ভ্যানে করে ভাস্কর্যটি অ্যানেক্স ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে রাখার জন্য আনা হয়। কিন্তু ভেতরে জায়গা না হওয়ায় তা বের করে এনে পানির পাম্পের পাশে রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কয়েকজন শ্রমিক ভাস্কর্যটিকে নীল রঙের একটি ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রেখেছেন।

বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে অ্যানেক্স ভবনের সামনে জায়গা নির্ধারণ করে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শুরু হলেও শেষ হয়নি। প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা জানান, ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপনের জায়গায় ঢালাইয়ের কাজ চলায় সেটি আজ পুনঃস্থাপন করা সম্ভব হবে না। দুই-একদিনের মধ্যে পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত জানা যাবে।

২০১৬ সালের শেষ দিকে সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্যটি সরাতে আন্দোলনে নামে হেফাজতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি ইসলামি সংগঠন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্যটি অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠান। বিবৃতিতে ভাস্কর্যটিকে মূর্তি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। এরপর থেকে ভাস্কর্যটি সরানোর দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল সংগঠনটি। এই ‘মূর্তি’ সরানো না হলে আবারও শাপলা চত্বর ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেবেন বলে জানান সংগঠনটির নেতারা।

গত ১১ এপ্রিল রাতে গণভবনে কওমি মাদ্রাসার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের এক সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণের সামনে স্থাপিত গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য সরানোর পক্ষে। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটা এখানে থাকা উচিত নয়।’ এরপর ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো রমজানের আগেই ভাস্কর্যটি সরাতে সময়সীমা বেঁধে দিলে গতরাতে এটি সরিয়ে নেয়া হয়।

গো নিউজ২৪/এনএফ

জাতীয় বিভাগের আরো খবর