সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য সরানো হচ্ছে। কয়েকজন শ্রমিক সরানোর কাজ করছেন। বৃহস্পতিবার রাতেই ভাস্কর্য সরানো হয়।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবির ভাস্কর্য স্থাপনের পর থেকেই তা অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
গত ১১ এপ্রিল গণভবনে হেফাজতের নেতাদের সঙ্গে এক সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই ভাস্কর্য সরানোর পক্ষে মত দেন। তিনি জানান, উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য সরানোর পক্ষে তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন ভাস্কর্য সরানোর জন্য যা করার দরকার তিনি তা করবেন।
হেফাজতের এই দাবির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন নিয়ে বিশিষ্ট নাগরিক ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আপত্তি জানায়।
ভাস্কর্য সরানোর দাবিতে গত ফেব্রুয়ারিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন হেফাজতের আমির আহমদ শফী।
চাপের মুখে ভাস্কর্য সরাচ্ছি: মৃণাল হক
চাপের মুখে পড়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভাস্কর মৃণাল হক।
তিনি বলেছেন, আমরা পরাজিত হয়ে গেলাম। স্বাধীনতা বিরোধীদের জয় হলো। এটা আমাদের জন্য অপমানের। ভাস্কর্য সরানো নিয়ে আমাদের সুশীল সমাজের অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু আমি সাধারণ মানুষ, আমি তো আর কথা বলতে পারব না। আজকে কথা বললে কাল আমার ভাত খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভাস্কর্য সরানোর সময় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মৃণাল হক বলেন, “ওপরের প্রেসারে ভাস্কর্যটি সরাতে হচ্ছে। আমাকে বলা হয়েছে সরাতে, চাপ দেয়া হয়েছে।”
কে চাপ দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অনেকের অনেক রকম ক্ষমতা আছে। আমি বানিয়েছিলাম, আমাকে সরাতে বাধ্য করা হচ্ছে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা জানি না, এরপর ‘অপরাজেয় বাংলা’, রাজু ভাস্কর্য ও শেরাটনের সামনের ঘোড়ার গাড়ির ভাস্কর্য সরানোর নির্দেশ আসবে কি না।”