জব্দ মার্সিডিজ গাড়িটি ব্যবহার করত ‘ধর্ষক’ সাফাত


নিজস্ব প্রতিবেদক  প্রকাশিত: মে ২৪, ২০১৭, ১১:২৮ এএম
জব্দ মার্সিডিজ গাড়িটি ব্যবহার করত ‘ধর্ষক’ সাফাত

সিলেটের পূর্ব জিন্দাবাজার থেকে জব্দকৃত মার্সিডিজ গাড়িটি বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ও আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত ব্যবহার করত বলে জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দার একটি দল সিলেটের পূর্ব জিন্দাবাজারের বারুদখানার সিম্ফনি হাইট থেকে মার্সিডিজটি জব্দ করে। গাড়িটির দাম এক কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

শুল্ক গোয়েন্দা জানিয়েছে, ওই ভবনটি সাফাত আহমেদের মামা খলিলুর রহমান মাসুমের। ভবনের বেজমেন্টে সাদা কাপড়ে ঢেকে রাখা ছিল শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে জব্দ মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িটি।
 

শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মইনুল খান বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, চেসিস নম্বর অনুযায়ী গাড়িটির তৈরির সাল ২০০২। কিন্তু নিবন্ধন কাগজপত্রে উল্লেখ আছে ২০১১ সাল। বিদ্যমান আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী, পাঁচ বছরের পুরনো গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ।

এছাড়াও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিল অব এন্ট্রি নং ৬৭৪৬৮ তারিখ: ২৫/০৫/২০১১ এর মাধ্যমে খালাসকৃত ৭টি গাড়িতে মোট ৯৩.৫ লাখ টাকা ফাঁকি দেয়া হয়েছে। আটক গাড়িটি ওই ৭টির একটি। গাড়িটিতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ফাঁকি দেয়া হয়েছে। এই গাড়িতে জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

গাড়িটির মালিক আপন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী দিলদার আহমেদ হলেও গাড়িটি ব্যবহার করত সাফাত।

শুল্ক গোয়েন্দার ডিজি আরও জানান, গাড়িটি বেশ কিছুদিন ধরে ওই ভবনের বেজমেন্টে রাখা ছিল। দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ঢাকা থেকে এই গাড়িটি এনে সিলেটে লুকিয়ে রাখেন। গাড়িটির বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে।

গো নিউজ ২৪

জাতীয় বিভাগের আরো খবর