অর্থাভাবে বিচার পাবে না, তা হতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০১৭, ০২:৫৭ পিএম
অর্থাভাবে বিচার পাবে না, তা হতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অর্থের অভাবে বিচার পাবে না বা আইনি সহায়তা পাবে না এটাতো হতে পারে না। দেশব্যাপী আইনগত সহায়তা কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে দেওয়া আইনি সহায়তার পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০০৯ থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৮ বছরে সোয়া ২ লাখ নারী শিশু ও পুরুষকে সরকারি খরচে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। নিষ্পত্তি হয়েছে সাড়ে ৪৬ হাজার মামলা। ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করেই সাড়ে ৩ কোটি টাকা আদায় করে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি কথাগুলো বলেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বিচার বিভাগের ব্যাপারে বলেন,  ‘রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে তিন স্তম্ভ আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগকে সমঝোতার ভিত্তিতে চলতে হবে এবং কাজ করতে হবে। একটি আরেকটিকে দোষারোপ করে কোনো দিন একটি রাষ্ট্র সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে না।’ এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরি শৃঙ্খলা ও আচরণসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন নিয়ে প্রশাসনের ‘অহেতুক’ দীর্ঘসূত্রতার জন্য উষ্মা প্রকাশ করা হচ্ছে উচ্চ আদালত থেকে। এ ছাড়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়েও কখনো কখনো সংশয় প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও সরকারের মন্ত্রী বিশেষ করে আইনমন্ত্রী পরস্পর বক্তব্য তুলে ধরেন।

কোনো বিভাগের ক্ষমতা কম নয়- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আইন প্রণয়ন করি, আর তা প্রয়োগ করে বিচার বিভাগ, এটা কার‌্যকর করার ক্ষেত্রে রয়েছে নির্বাহী বিভাগ। কেউ এককভাবে চলতে পারবে না। সবাইকে সমঝোতা নিয়ে চলতে হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি মনে করেন, এখানে আমার ক্ষমতাটা আমি সবটুকু প্রয়োগ করব। কিন্তু সেই প্রয়োগটা করবে কে, তার জন্য তো কাউকে লাগবে। এ কথা যেন কেউ ভুলে না যায়।’

জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর বিচার বিভাগ পৃথককরণ আইন স্থায়ী করি। বিচারকদের বেতন-ভাতা দ্বিগুণ করার পাশাপাশি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। জজদের বাসস্থান সমস্যার সমাধানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’

বঞ্চিত মানুষকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিতে আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুস্থ, অসহায়, দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো যেন ন্যায় বিচার পেতে পারেন, সেই ন্যায় বিচারের পথ সুগম করার জন্য আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০ পাশ করি।

২০০১ পরবর্তী বিএনপি আমলে এটি বাস্তবায়ন না হলেও ২০০৯ পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার আইনটি কার্যকর করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দুস্থ অসহায় মানুষেরা এর সুফল ভোগ করছেন।


গো নিউজ২৪/এএইচ

জাতীয় বিভাগের আরো খবর