মডেল মসজিদ হচ্ছে জেলা-উপজেলায়


স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০১৭, ০৬:১৫ পিএম
মডেল মসজিদ হচ্ছে জেলা-উপজেলায়

দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলাতে একটি করে মডেল মসজিদ করবে সরকার। এসব মসজিদের সঙ্গে যুক্ত থাকবে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ২০১৯ সালের মধ্যে সরকার এর কাজ শেষ করতে চায়। এসব মসজিদে নারীদেরও নামাজের ব্যবস্থা থাকবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক সভায় এ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

সভা শেষে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি জানান, সরকার প্রতিটি জেলা ও উপজেলাতে একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করবে। মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৬০টিতে। এতে সরকারের মোট ব্যয় হবে ৯ হাজার ৬২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল ৮৯২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর প্রকল্প সাহায্য পাওয়া যাবে ৮ হাজার ১৬৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

সৌদি সরকার এ প্রকল্পে সহায়তা দেবে বলে জানা গেছে। চলতি বছরই প্রকল্পটির কাজ শুরু করতে চায় সরকার। আর শেষ হবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরব সফর করেন। সফরকালে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় এমন একটি প্রকল্পে দেশটির সরকারের সহায়তা চান তিনি। সৌদি সরকার প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রকল্পে অর্থায়ন করতে এগিয়ে এসেছে।

প্রকল্পের বিস্তারিত থেকে জানা যায়, ৬৪টি জেলার ৬৮ স্থানে করা হবে মসজিদগুলো। আর ৪৯২টি উপজেলাতে হবে একটি করে মসজিদ।

দেশে বর্তমানে সরকারের হিসাবে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি। এর প্রায় ৯০ শতাংশই মুসলিম। সাধারণত মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় উপাসনা মসজিদে সম্পাদন করে থাকে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৩ লাখ মসজিদ আছে। তবে এসব মসজিদের বেশির ভাগই স্থানীয় জনগণের আর্থিক সহায়তায় হয়েছে। এসব পরিচালিতও হয়ে থাকে সেভাবে।

সরকার মনে করছে, দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলাতে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন কোনো মসজিদ বা ইসলামি স্থাপনা নেই। এ বিবেচনায় ইসলামি মূল্যবোধের উন্নয়ন ও ইসলামি সংস্কৃতির বিকাশে একটি করে মডেল মসজিদ কাম ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করা জরুরি।

জানা গেছে, মডেল মসজিদগুলোতে নারী ও পুরুষ এক সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। তবে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ওজুর জায়গা থাকবে। থাকবে অতিথিশালাও থাকবে। করা হবে একটি করে ইসালামিক লাইব্রেরি। বিদেশি পর্যটকরা এসে থাকতে পারবেন।

প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি মসজিদে একটি সুনির্দিষ্ট জায়গা থাকবে যেখানে মৃতদেহ গোসল করানো যাবে।    

গোনিউজ২৪/এম

জাতীয় বিভাগের আরো খবর