বৃষ্টি-জলজট-যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০১৭, ১২:৪৭ পিএম
বৃষ্টি-জলজট-যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী

সকালে ঘুম ভেঙে দেখা গেলো আকাশ মেঘলা। তারপর কর্মস্থলমুখী মানুষ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগামী ছাত্র-ছাত্রীরা যখন ঘর থেকে বের হবে ঠিক সে-মুহূর্তে সকালেই যেন নেমে আসল সন্ধ্যা। রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকার আজ সকালের চিত্র এটি। এরপর থেকে কখনো ভারি বর্ষণ, আবার কখনো মাঝারি বা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি।
 
বৃষ্টিতে রাজধানীর অধিকাংশ সড়ক ডুবে গেছে। কোথাও কোথাও হাটু বা তার চেয়ে বেশি পরিমাণ জলাবদ্ধতার কবলে পরে বিভিন্নস্থানে অভিমুখী মানুষ। তার উপর আবার সড়কে দীর্ঘ যানজট। এ কারণে সপ্তাহের মাঝামাঝি কার্যদিবসের সকালেই বৃষ্টি ও যানজটে নাকাল হলো রাজধানীবাসী।
 
রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর, মৌচাক, পল্টন, বাংলামোটর, কাকরাইল, ধানমন্ডি, বাড্ডা, শাহবাগ, ফার্মগেট ও বসুন্ধরা গেট এলাকার বেশির ভাগ সড়ক বৃষ্টির পানি ও যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে। এতে গন্তব্যমুখী মানুষ চরম ভোগান্তিতে পরেন। বৃষ্টি আর যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসেই বসে থাকতে হয় যাত্রীদের।
 
সোমবার সকালে আবহাওয়ার সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়, ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা ও ময়মনসিংহের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া সারা দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তীত থাকতে পারে।
 
আবহাওয়ার বার্তায় আরো বলা হয়, আজ সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে পশ্চিম ও উত্তর- পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বা কোথাও কোথাও আরো অধিক বেগে কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বর্জসহ বৃষ্টি হতে পারে।
 
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এ কারণে সারা দেশে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে।
 
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশ উপকুলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
 
এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সমুহকে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরসমুহকে ২ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
 
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকুলীয় এলাকার কাছাকাছি এসে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

গো নিউজ ২৪

জাতীয় বিভাগের আরো খবর