‘পানি আসবেই, কেউ আটকে রাখতে পারবে না’


স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০১৭, ০৫:৪০ পিএম
‘পানি আসবেই, কেউ আটকে রাখতে পারবে না’

ঢাকা: তিস্তা চুক্তি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমি একটা জিনিস বিশ্বাস করি। পানি আসবেই, কেউ আটকে রাখতে পারবে না।”

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, “তিস্তার বিষয়ে আমরা আলোচনা বহুদিন থেকে চালিয়ে যাচ্ছি। মমতা যখন ঢাকায় এসেছেন তখন তিনি বলেছেন পানি দিবেন। এবারের সফরেও তিনি বলেন নাই যে, পানি দিবেন না। তিনি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন।”

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন এ আমার সরকারের সময়েই তিস্তা চুক্তি হবে। সুতরাং স্বাভাবিকভাবে আমদের উচিত ধৈর্য ধরা। বর্ষাকালে যে পানি আসে সেটা যাতে ধরে রাখতে পারি সেই ব্যবস্থা করতে পারি। বর্ষাকালে বেশি বৃষ্টি হলে পানিতো আর আটকে রাখতে পারবে না। তখনতো পানি ছাড়তেই হবে।”

তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিস্তা চুক্তি হবেই। সেটা আমরা দুই পক্ষ ক্ষমতায় থাকার সময়ই হবে। একেবারে খালি হাতে তো আসিনি। বিদ্যুৎ পেয়েছি। বিদ্যুত তো আমাদের অনেক দরকার।”

ব্যারেজের পরিকল্পনা বহু আগে থেকেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্র বলেন, “আজকে যারা চিৎকার করছেন তারা কিন্তু কোনো টু-শব্দ করেন নাই।”

তিনি বলেন, “পাশাপাশি আমরা দেখি মমতা আপা আমাদের কতটুকু বিদ্যুৎ দেন। তারপর আমরা কিনে নিব।”

প্রধানমন্ত্রী জানান, তার এই সফরে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে মোট ৩৫টি দলিল স্বাক্ষরিত হয়। এগুলোর মধ্যে ১১টি চুক্তি এবং ২৪টি সমঝোতা স্মারক।

মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত আছেন সংবাদ সম্মেলনে।

এর আগে, ৭ থেকে ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ১১টি চুক্তি ও ২৪টি সমঝোতা স্মারক সই হয় দুই দেশের মধ্যে। এছাড়া স্বাক্ষরিত হয় দুটো ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’।

সফর শেষে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শেখ হাসিনা। এর আগে তিনি নয়া দিল্লির পালামে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

সাত বছর পর অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার এ সফরে শুরুতেই চমক দেখান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রটোকল ভেঙে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে পালাম বিমান ঘাঁটিতে উপস্থিত হন তিনি।

শেষ হাসিনা তার সফরের চার দিনই ছিলেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। শুক্রবার তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা সরাজ। শনিবার দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠকের পর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর ২২টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিকেলে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সাত ভারতীয় সেনাকে সম্মাননা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

রোববার আজমিরে হযরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতীর দরগাহ জিয়ারত করতে যান শেখ হাসিনা। পরে কংগ্রেসনেত্রী সোনিয়া গান্ধী তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সোমবার সকালে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং ব্যবসায়ী কর্মসূচিতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

গোনিউজ২৪/এম

জাতীয় বিভাগের আরো খবর