‘ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য কমায় না: প্রধানমন্ত্রী


গো নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০১৭, ০৫:৪১ পিএম
‘ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য কমায় না: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ অবদান রেখেছে বলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত যে বক্তব্যে দিয়েছিলেন তার কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য কমায় না, যারা এ ঋণের ব্যবসা করেন তাদের লাভ হয়।  আর অর্থমন্ত্রী এসব বিবেচনায় না নিয়ে এমন একজনের প্রশংসা করেছেন যার কারণে পদ্মাসেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল হয়ে গেছে।”

শনিবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্ধোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সরকার দারিদ্র্যের হার ৬০ শতাংশ থেকে নামিয়ে ২২ শতাংশ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এটা আরও কমাবে। যদি ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য বিমোচন করতো, তাহলে কেন এ হার এক সময় ৬০ শতাংশ ছিল? কয়েকদিন আগে আমাদের অর্থমন্ত্রী ক্ষুদ্রঋণের খুব প্রশংসা করে বললেন যে, ক্ষুদ্রঋণের জন্য নাকি দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন যদি তার জন্যই হতো, তাহলে আর ৬০ ভাগের মতো দারিদ্র্য থাকে কেন আর কীভাবে এটা ২২ ভাগে নেমে এসেছে?”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ক্ষুদ্রঋণে দারিদ্র্য লালন পালন হয়। যারা ক্ষুদ্রঋণের ব্যবসা করেন, তারা সম্পদশালী হয়, তারা ধনশালী হয়। কারণ, সপ্তাহে সপ্তাহে উচ্চহারে সুদ দিতে হয়। গরিবের মেয়েরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে টাকা কামাই করে সে টাকা সুদ চলে যায়। সে কোনোমতে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারে, কিন্তু দারিদ্র্যের হাত থেকে উঠে আসতে পারে না।  যারা এ ব্যবসা করেন, তারা চায়ও না, এরা দারিদ্র্য থেকে উঠে আসুক। কারণ দারিদ্র্য থেকে উঠে আসলে তাদের ব্যবসাই  চলে যাবে। তারা কাকে নিয়ে ব্যবসা করবে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আমার দুঃখ লাগে সেদিন তিনি (অর্থমন্ত্রী) এমন একজনের প্রশংসা করে ফেললেন, যার কারণে  আমার পদ্মাসেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দিলো ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। অথচ তিনি তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।”

এর আগে বক্তৃতার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধসহ সবরকমের আন্দোলন-সংগ্রামে নারীর অবদানের কথা স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, “সন্তানের সবচেয়ে বড় বন্ধু হয়ে উঠতে হবে মাকে। তারা কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মেলা-মেশা করছে সব খোঁজখবর রাখতে হবে। সন্তানকে কেবল শাসন নয়, আদর-যত্নও করতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী তাগাদা দেন, বাচ্চাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে মা-বাবাকে। কোনো কথা বলার দরকার পড়লে ছেলে-মেয়ে যেন আগে মাকে বলে। সে রকম পারিবারিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। 

গোনিউজ২৪/এম

জাতীয় বিভাগের আরো খবর