সাত খুন মামলার রায়ের পর আসামীদের প্রতিক্রিয়া


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০১৭, ০৯:১২ পিএম
সাত খুন মামলার রায়ের পর আসামীদের প্রতিক্রিয়া

নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর আসামী নূর হোসেন এবং র‍্যাবের সাবেক তিনজন কর্মকর্তার মধ্যে কোন অস্থিরতা দেখা যায়নি। তারা স্বাভাবিক ছিল।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সকাল দশটার পর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রায় ঘোষণা শেষ হয়ে যায়। এর পরপরই কয়েকজনের কান্নার শব্দ শোনা যায়।

এই মামলায় মোট ৩৫ জন আসামী । যার মধ্যে ২৬ জনকে ফাঁসি দিয়েছে আদালত। এরমধ্যে গ্রেফতার আছে ২৩ জন। তাদের সকলকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে সকাল সাড়ে ন'টার মধ্যে নিয়ে আসা হয় আদালতে। তবে প্রধান চারজন আসামী সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‍্যাবের চাকরিচ্যুত তিনজন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদ রানাকে আদালতে আনা হয় রায় ঘোষণার কিছুক্ষণ আগে কাশিমপুর কারাগার থেকে। বাকি সবাই ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেল হাজতে।

প্রধান চারজন আসামীকেও ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আনা হয়েছিলো কিন্তু আদালতে ঢোকার সময় তাদের ডাণ্ডাবেরি খুলে দেওয়া হয়। নূর হোসেনকে আনা হয় মাথায় হেলমেট পরিয়ে। আদালতে বিচারকের আসনের বাম পাশে তৈরি লোহার বিশাল একটি খাঁচায় নূর হোসেনসহ বেশিরভাগ আসামীকে রাখা হলেও র‍্যাবের সাবেক তিনজন কর্মকর্তাকে রাখা হয়েছিলো খাঁচার বাইরে।

রায় ঘোষণার আগে আসামীদেরকে তাদের আইনজীবীদের সাথে কথা বলতে দেখা গেছে। রায় শোনার পর নূর হোসেনসহ র‍্যাবের সাবেক তিনজন কর্মকর্তার মধ্যে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে লোহার খাঁচার ভেতরে থাকা কয়েকজন আসামীকে জোরে কাঁদতে শোনা যায়। রায় ঘোষণার পর আসামীদের পরিবারের সদস্যদেরকে দেখা যায়নি।

আসামীদের আইনজীবীরা বলেছেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিল করবেন।

গো-নিউজ২৪/বিএস

 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর