পানি ব্যবস্থাপনায় একসঙ্গে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০১৬, ০৭:৩৭ পিএম
পানি ব্যবস্থাপনায় একসঙ্গে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পানি ব্যবস্থাপনায় আমাদের এখনই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার ভূমিকা পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’

আজ সোমবার হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে পানি সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। পানি সম্পর্কিত বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তঃসীমান্ত নদীর পানির সুব্যবস্থাপনা খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়। দুষ্প্রাপ্যতা সবসময় পানি সংকটের প্রধান কারণ নয়। আন্তঃসীমান্ত প্রবাহের বণ্টন একটি জটিল বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে।’

৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদীসহ ২৩০টি নদীবিধৌত দেশের প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘের পানিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলের সদস্য শেখ হাসিনা ৭ দফা এজেন্ডা উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংস্কৃতি, ধ্যান-ধারণা ও জীবনযাত্রার প্রধান অংশ জুড়ে আছে পানি।’

প্রথম এজেন্ডা: ‘২০৩০-এ পানি এবং বৃহত্তর টেকসই উন্নয়ন কাঠামোর মধ্যে আন্তঃসংযোগ ও বিনিময়ের গৃহীত নীতি অনুযায়ী জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে যেকোনো উন্নয়ন প্রচেষ্টায় পানি হবে অবিচ্ছেদ্য অংশ।’

দ্বিতীয় এজেন্ডা হলো- বিশ্বে পিছিয়ে থাকা লাখ লাখ মানুষ অথবা গ্রুপ যারা বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং স্যানিটেশন সুবিধাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সংকট মোকাবিলা করছে তাদের চাহিদার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

তৃতীয় এজেন্ডা- জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকির মুখোমুখী দেশগুলোর বিপন্ন এলাকায় পানি সম্পর্কিত বিপর্যয় রোধে সহায়ক কাঠামো নির্মাণ জরুরি।

চতুর্থ এজেন্ডা- অব্যাহত পানি সংকটের জন্য পানির ঘাটতি মূল কারণ নয়। এখানে সুষম বণ্টনের জন্য আন্তঃসীমান্ত নদীর পানির কার্যকর ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পঞ্চম এজেন্ডা- কৃষি উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ব্যাপকভাবে পানি ব্যবহার হচ্ছে। এজন্য সীমিত পানি ব্যবহার করে শস্য উৎপাদন করা যায়- এমন জাতের উন্নয়নে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালাতে হবে এবং পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাতে হবে।

ষষ্ঠ এজেন্ডা- আমাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার উন্নয়নে প্রতিটি দেশের মধ্যে একে অপরের ‘লাইট-হাউস-ইনিশিয়েটিভ’ বিনিময় প্রয়োজন। বিশেষ করে, উন্নয়ন এবং পানিসম্পদের কার্যকর ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা ও কৌশল বিনিময় করতে হবে।

সপ্তম এজেন্ডা- পানি সংক্রান্ত লক্ষ্য অর্জনে গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে একটি বৈশ্বিক তহবিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

গোনিউজ২৪/এমএইচএস

 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর