বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩য় ইউনিটের ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন


প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০১৬, ১০:১৭ পিএম
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩য় ইউনিটের ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন

 

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পাশ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া ২৭৫মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রকল্পের ৩য় ইউনিটের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।


২ হাজার ৬ শত ৮৭ কোটি টাকা ব্যায়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ৩বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে কাজ শুরুর ১ বছরে ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পাশ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে কয়লা খনির পাশে ২৫০মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ১২৫মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ২টি ইউনিট রয়েছে।


২৭৫মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৩নম্বর ইউনিটটির স্থাপনের কাজ গত বছরেই জুলাই মাসে শুরু করা হয়েছে। এই ইউনিটটি চালু রাখতে প্রতিদিন গড়ে ২হাজার মেট্রিক টন হিসেবে বছরে প্রায় ৭লাখ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে। প্রকল্প স্থাপনের কাজ শেষে উৎপাদনে গেলে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২৫০মেগাওয়াট থেকে বেড়ে ৫২৫মেগাওয়াটে গিয়ে দাঁড়াবে। এদিকে ৩য় ইউনিটের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় প্রত্যক্ষ ভাবে এলাকার প্রায় ১হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং পরোক্ষভাবে আরো ৫হাজার মানুষ উপকৃত হচ্ছে।


২৭৫মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৩নং ইউনিটটি বাস্তবায়ন করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয়েন্ট ভেঞ্জার অফ হারবিন ইলেকট্রিক ইন্টারন্যাশনাল ও সিসিসি ইঞ্চিনিয়ারিং কোম্পানি লি.। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গত বছরের জুলাই মাস থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছেন।


প্রকল্প এলাকায় সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল ভবনের (বয়লার ও মেশিন হাউস) সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে ৩নং ইউনিটের বয়লার, টারবাইন, চিমনি নির্মাণ, পাইলিং সহ সভিল ওয়ার্ড প্রায় শেষ পর্যায়ে। গত মাসে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের টার্গেট ধরা হয়েছিল ৩০শতাংশ। ইতিমধ্যে প্রায় ৪০শতাংশের কাজ শেষ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানি কৃত ৯০শতাংশ যন্ত্রপাতি প্রকল্প এলাকায় চলে এসেছে। অবশিষ্ট ১০শতাংশ যন্ত্রপাতি আগস্ট মাসে প্রকল্প এলাকায় চলে আসার কথা রয়েছে। ২০১৮সালের জুন মাসের মধ্যে ইউনিটটি উৎপাদনে যাওয়ার লক্ষমাত্রা নিয়ে কাজ চলছে।


এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিচালক (পিডি) প্রকৌশলী চৌধুরী নুরুজ্জামান বলেন, বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পের ২৭৫মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৩নং ইউনিটটি চালু হলে দেশের উত্তর পশ্চিম জোনের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হবে এবং এখান থেকে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ যোগ করা গেলে ট্রান্সমিশন লস কমানো সম্ভব হবে।

 

গো-নিউজ২৪/প্লাবন গুপ্ত শুভ

 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর