ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে তাঁতী সম্প্রদায়ের ভূমিকা


মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০১৬, ০৯:১৫ পিএম
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে তাঁতী সম্প্রদায়ের ভূমিকা


বিক্রমপুরে তাঁতী নির্যাতনের ইতিহাস পাঠ করে দেখা যায় ব্রিটিশ আমলে পশ্চিম বিক্রমপুরের জনসংখ্যার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল তাঁতী সম্প্রদায়। চল্লিশের দশকে তাঁতীরা সংঘবদ্ধ হয়ে সমিতি আকারে বিভিন্ন সংগঠন গড়ে তোলে।

গোয়ালী মান্দ্রা হাটে প্রথম বিক্রমপুরে তাঁতী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । ১৯৪৩ সনের দুর্ভিক্ষের পরে বাংলার সব স্থানে সুতার অভাব দেখা দেয়। এ কারনে তাঁতীরা কালোবাজারে সুতা ক্রয় করে তা দিয়ে কাপড় বুনতে বাধ্য হতো। কালোবাজারের সুতা তল্লাশির নামে পুলিশ অনেক সময়ে নিরীহ তাঁতীদের উপর অত্যাচার করতো।

১৯৪৬সনে পুলিশ তাঁতীদের অসমাপ্ত কাপড় কাঁচি দিয়ে কেটে দেয়। এতে তাঁতীরা প্রতিবাদ করে। এর ফলে লৌহজং এর ঐ সময়ে আব্দুল খালেক দারোগা পাইকপাড়া গ্রামের এক তাঁতী মহিলার উপর যৌন নির্যাতন চালায় এবং কামড় দিয়ে ঐ মহিলার স্তন কেটে ফেলে। এর প্রতিবাদে সমগ্র বিক্রমপুর কেপে ওঠে। তাঁতীরা গান্ধীর মাঠে প্রতিবাদ সভা করে।

উক্ত সভায় ঢাকা জেলা কংগ্রেস সভাপতি বীরেণ পোদ্দার এই সভায় সভাপতিত্ব করেন। এই সভার অন্যতম বক্তা ঢাকা জেলার মুসলিম লীগ সম্পাদক শামসুদ্দিন আহম্মেদ কে সূত্রাপুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে খবর পেয়ে বিক্রমপুরের কয়েক হাজার উত্তেজিত জনতা থানা ঘেরাও করে। তাকে মুক্তি দিতে পুলিশ বাধ্য হয়।

এর কিছুদিন পরে সোহরাওয়ার্দী মন্ত্রী সভার সদস্য আব্দুর রহমান লৌহজং গমন করে ক্ষতিগ্রস্ত তাঁতীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করেন।

গো-নিউজ২৪/কায়সার/এএফফি 

সাহিত্য ও সংষ্কৃতি বিভাগের আরো খবর