আদা সর্দি-কাশি সারাতে সাহায্য করে এটা আমরা কম বেশি সকলেই জানি।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আদায় এমন সব ঔষধি গুণ রয়েছে যা একাধিক রোগ-ব্যাধি মোকাবেলায় সাহায্য করে। প্রতি ১০০ গ্রাম আদায় ৮০ ক্যালরি এনার্জি, ১৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ০.৭৫ গ্রাম ফ্যাট, ৪১৫ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম এবং ৩৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস রয়েছে। নিয়মিত আদা খেলে যেসব সমস্যা দুর করা যায়-
১. ঠান্ডা-গরমে খুসখুসে কাশি বা সর্দির সমস্যা দূর করতে আদার রস খুবই কার্যকরী। খুসখুসে কাশিতে গলার ভেতরের অস্বস্তি কমাতে আদার জুড়ি নেই।
২. শরীরের নানা ধরনের ব্যথা নিরাময়ে আদা দারুনভাবে প্রভাব ফেলে। আদার রসে থাকা জিঞ্জেরল ব্যথার অসুখের মতোই কাজ করে।
৩. মার্কিন গবেষকরা বলছেন, আর্থ্রাইটিস সমস্যা কমাতেও আদা কার্যকরী।
৪. মাইগ্রেনের সমস্যার নিরাময়েও আদা দারুনভাবে কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টিহিস্টামাইন, অ্যান্টিনসিয়া উপাদান মাথা-ধরার অস্বস্তি থেকে মুক্তি দেয়।
৫. ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও দারুন কার্যকরী আদা। এটি ক্যালরি পোড়াতে ভাল কাজ করে। তাছাড়া আদার রস কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম করাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে বিপাকক্রিয়া এবং ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়ায়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আদার বেশ ভূমিকা থাকে।
৬. হজমের সমস্যা, বুক জ্বালা কিংবা গ্যাস কমানোর জন্য আদা অত্যন্ত কার্যকরী।
৭. একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যাকটেরিয়াজনিত যে কোনও সংক্রমণ ঠেকাতে আদার রস খুবই কার্যকরী।
৮. বমি বমি ভাব কমাতে আদার কুচি মুখে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।
৯. যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, ক্যানসারের কোষগুলির অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি রুখে দিতে পারে আদার রস।
গোনিউজ২৪/এমএএস
