স্ট্রোকে প্রাথমিক যে ৫টি ভুল আমরা করে থাকি


নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০১৮, ১২:০৯ পিএম
স্ট্রোকে প্রাথমিক যে ৫টি ভুল আমরা করে থাকি

মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার ফলে যে অব্যবস্থা দ্রুত জন্ম নেয় তাকে বলা হয় স্ট্রোক (Stroke)। দেহের রক্তের মাত্র ২% মস্তিষ্ক ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু মস্তিষ্ক কোষসমূহ অত্যন্ত সংবেদনশীল---অক্সিজেন বা শর্করা সরবরাহে সমস্যা হলে দ্রুত এই কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ওই কোষগুলো শরীরের যেই অংশ নিয়ন্ত্রণ করত ওই অংশ গুলো পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে।
১)স্থানান্তর: স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে হুইলচেয়ার, বিছানা, কমোডে স্থানান্তরের সময় এবং হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন না করলে রোগী আরও দুর্বল হয়ে পড়ে, অস্বস্তি ও খুব ব্যথা অনুভব করে, এমনকি শরীরের অস্থিসন্ধি থেকে হাড় ছুটে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে এবং কোমর ও কাঁধে পর্যাপ্ত সাপোর্ট দিতে হবে।

২)রোগীর মনোভাব: স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীর মস্তিষ্ক-মন সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে না। তাই অস্বাভাবিক আচরণ ও রাগারাগি করতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিচলিত না হয়ে রোগীর মনোভাব বুঝে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। রোগীকে মানসিক সমর্থন দেওয়া এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জরুরি।

৩)বিছানায় এপাশ-ওপাশ করানো: স্ট্রোকের পর সাধারণত রোগীকে বিছানায় দীর্ঘ সময় শুয়ে থাকতে হয়। এ ক্ষেত্রে এক অবস্থানে দীর্ঘ সময় ধরে থাকলে চাপজনিত ঘা, অস্বস্তি, অনুভূতিহীনতা দেখা দিতে পারে। এ জন্য রোগীকে অবশ্যই দুই ঘণ্টা পরপর ডানে, বাঁয়ে, ও চিত হয়ে শুইয়ে দিতে হবে। পাশ পরিবর্তনের সময় অবশ্যই বালিশ দিয়ে সাপোর্ট দিতে হবে, যাতে রোগীর বিশ্রাম কিংবা ঘুম আরামদায়ক হয়।

৪)পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা: রোগীকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। গোসল করানো সম্ভব না হলে অবশ্যই পুরো শরীর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে। অপরিচ্ছন্নতা ও অপরিষ্কার অবস্থা থেকে নতুন রোগের সংক্রমণ হতে পারে। দিনে দুইবার করে হাতে ও পায়ে অলিভওয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে ত্বক ভালো থাকবে। মাথায় প্রয়োজনে শ্যাম্পু ও তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পানি, তেল, শ্যাম্পু ব্যবহার করা যায় না।

৫)কম পানি পান: অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা যায়, পরিমাণে পানি কিংবা তরল খাবার না খাওয়ার কারণে রোগীর প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হয়ে যায়, এমনকি সংক্রমণও হতে পারে। এ ধরনের জটিলতা এড়াতে রোগীকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি পান করাতে হবে। সেই সঙ্গে ডাবের পানি, চিড়া, ইসপগুলের ভুসি খাওয়ানো যেতে পারে।
গোনিউজ২৪/এমএএস

লাইফস্টাইল বিভাগের আরো খবর