থানকুনি পাতার ৮টি গুনাগুণ


নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০১৮, ১০:৩৭ এএম
থানকুনি পাতার ৮টি গুনাগুণ

গ্রামাঞ্চলে থানকুনি পাতার ব্যবহার আদি আমল থেকেই চলে আসছে। ছোট্ট প্রায় গোলাকৃতি পাতার মধ্যে রয়েছে ওষুধি সব গুণ। থানকুনি পাতার রস রোগ নিরাময়ে অতুলনীয়।


১.পেটের রোগ: পেটের রোগ নির্মূল করতে থানকুনির বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যেকোনো পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একই সাথে পেট নিয়ে কোনো দিনও ভুগতে হবে না। শুধু পেটই নয়, আলসার, এক্সিমা, হাঁপানিসহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনির পাতা খেলে। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে।

২.চুল পড়া আটকায়:চুল পড়া আটকায় থানকুনি পাতা ৷ এমনকী, থানকুনি পাতার রস রোজ মাথায় লাগালে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে ৷

৩.স্মৃতিশক্তি: থানকুনি পাতায় থাকে Bacoside A ও B1 Bacoside E, যা মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে এবং রক্ত চলাচল বাড়ায়। দুধ, মধু ও থানকুনিপাতার রস নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

৪.স্নায়ুতন্ত্রক: থানকুনি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।

৫.ত্বকের সুরক্ষা: মৃতকোষের ফলে চামড়া থেকে অনেক সময় শুষ্ক ছাল ওঠে। ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। থানকুনি পাতার রস মৃতকোষগুলোকে পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে।

৬.ক্ষত নিরাময়:পুরনো কোনো ক্ষত কোনো ওষুধে না সারলে, থানকুনি পাতা সেদ্ধ করে তার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে সেরে যায়। সদ্য ক্ষত থানকুনিপাতা বেটে লাগালে ক্ষত নিরাময় হয়।

৭.চেহারায় লাবণ্য:বয়স বাড়লে তারুণ্য ধরে রাখে থানকুনিপাতার রস। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধে ৫-৬ চামচ থানকুনিপাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য আসে। আত্মবিশ্বাসও বাড়ে।

৮.দাঁত ব্যথা:দাঁতের রোগ সারাতেও থানকুনির জুড়ি মেলা ভার। মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে বা দাঁত ব্যথা করলে একটি বড় বাটিতে থানকুনিপাতা সেদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায়।

সতর্কতা : খুব উচ্চপর্যায়ে গবেষণালব্ধ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এটি সম্পূরক খাদ্য হিসেবে বমি বমি ভাব হলে, চার বছর বয়সের নিচের শিশুদের ও বুকের দুধ খাওয়ানো বা গর্ভবতী মায়েদের থানকুনি গ্রহণ করা উচিত নয়। এ ছাড়া সিডেটিভস (Sedatives) গ্রহণকারী মানুষের সম্পূরক খাদ্য হিসেবে থানকুনি ব্যবহার না করাই উত্তম।

গোনিউজ২৪/এমএএস

লাইফস্টাইল বিভাগের আরো খবর