মাছ খেলে নেশা হবে গাঁজার চেয়েও বেশি


নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০১৮, ১২:১৫ পিএম
মাছ খেলে নেশা হবে গাঁজার চেয়েও বেশি

নেশা জাতীয় দ্রব্য বলতে আমরা সাধারণত মদ,গাজা,হিরোইন,ফেনসিডিল,ইয়াবা এসবকেই বুঝে থাকি।এসব ছাড়াও অনেক নেশা জাতীয় দ্রব্য রয়েছে। আসুন আজকে আমরা অজানা একটি নেশা জাতীয় দ্রব্য সম্পর্কে জানব 
নেশাখোর মানুষ নেশার তাড়নায় কতকিছুই না করেন। সংসারে নামে অশান্তির আগুন।

পৃথিবীতে হরেক রকমের নেশাজাতীয় দ্রব্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে গাঁজা, মদ, হিরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা এইসব নামগুলোর সঙ্গে অনেকেরই পরিচয় থাকলেও নেশার জগতে আরও অনেক নামই আমাদের অপরিচিত।

সেরকমই এক নেশাজাতীয় দ্রব্য হচ্ছে মাছ। শুনে চোখ কপালে উঠতেই পারে। মাছ খেলে নেশা হয়! তবে কি আমাদের মাছ খাওয়া বাদ দিতে হবে! আমরা যে মাছে-ভাতে বাঙালি!

না, আপাতত বিষয়টি বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার করেনি। সোনালি ও হলুদ রঙের আঁশযুক্ত এই মাছটির ক্ষমতা খুব মারাত্মক। এটি খেলে রীতিমতো নেশা হয়ে যাবে আপনার।

যেনতেন নেশা নয়, এই মাছ খেলে হেরোইন বা কোকেনের মতো নেশা হতে পারে। এই নেশা যেকোনও ড্রাগের সমতুল্য। আরবি ভাষায় মাছটির নাম ‘সারপা সালপা’।

২০০৬ সালে এই মাছটি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ১৯৯৪ সালে প্রথম এই মাছের খবর পাওয়া যায়। এক ব্যক্তি বেকড সারপা সালপা খেয়েছিলেন।

তারপর সেই ব্যক্তির অসম্ভব রকম হ্যালুসিনেশন দেখেন। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে, ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি করতে হয়েছিল।

৩৬ ঘণ্টা পর তিনি সুস্থ হয়েছিলেন। মাছটি খাওয়ার পরে প্রায় একই রকম অনুভূতি হয়েছিল সেন্ট ট্রোপেজের ৯০ বছরের এক বৃদ্ধারও।

মাছটি নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, কিছু খাবার খাওয়ার ফলেই মাছটির দেহে এক প্রকার বিষাক্ত ড্রাগ তৈরি হয়। যার ফলে হ্যালুসিনেশনের শিকার হন মানুষ।

তবে এই ব্যাপারে এখনও গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের ধারণা, এই মাছটি হিরোইন কিংবা কোকেনের চেয়েও বেশি নেশাযুক্ত।
গোনিউজ২৪/এমএএস

লাইফস্টাইল বিভাগের আরো খবর