‘আমরা একজন ভালো মন্ত্রী পেতে যাচ্ছি’


নিজস্ব প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২০, ০৩:১০ পিএম
‘আমরা একজন ভালো মন্ত্রী পেতে যাচ্ছি’

কুড়িগ্রামের স্থানীয় সাংবাদিককে মধ্যরাতে তুলে নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে মোবাইল কোর্টে সাজা দেয়ার ঘটনায় রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, একজন ব্যক্তি বা একজন পদধারী রাষ্ট্র বা সরকারকে প্রতিনিধিত্ব করে না। ওই ব্যক্তি বা পদধারী যদি কোনো অন্যায় করে থাকে, সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র বা সরকার যদি তাকে সমর্থন না দেয় সেটাই হবে আইনের শাসন। আর সরকার বা রাষ্ট্র যদি ব্যক্তির অন্যায় কাজে সমর্থন দেয় সেটা হবে আইনের লঙ্ঘন।

আদালত বলেন, ‘কুড়িগ্রামের ওই ঘটনার পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমে কথা বলেছেন। উনি বলেছেন, ডিসি যদি অপরাধ করে তাহলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। আমরা উনার বক্তব্যর প্রশংসা করছি। আমরা মনে করি, আমরা একজন ভালো মন্ত্রী পেতে যাচ্ছি।’

কুড়িগ্রামে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে সাজা দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া রিটের শুনানিতে সোমবার (১৬ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।

শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন আদালতে বলেন, ‘সাংবাদিকরা হচ্ছে সমাজের দর্পণ। তারাই সমাজের নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরেন। সাংবাদিকরা জেগে থাকলে সমাজে অন্যায় কম হয়। কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে বাসার দরজা ভেঙে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে একজন সাংবাদিককে যেভাবে দণ্ড দেয়া হয়েছে তা ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়।’

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘সংবাদপত্র হচ্ছে সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ। এই চতুর্থ স্তম্ভ (সাংবাদিকরা) যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে, তাহলে রাষ্ট্রের বাকি তিন স্তম্ভ (আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ) সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে।’

শুনানি শেষে আদালত মধ্যরাতে বাসার দরজা ভেঙে সাংবাদিক আরিফুলকে সাজার মামলার নথি তলব করেন। এছাড়া পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী সোমবার দিন ধার্য করেন।

শুনানিতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশিষ ভট্টাচার্য।

গোনিউজ২৪/এন

আইন-আদালত বিভাগের আরো খবর