এস কে সিনহার উত্তরসূরি কে ?


নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০১৮, ০৭:৫৩ পিএম
এস কে সিনহার উত্তরসূরি কে ?

ঢাকা : আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ কুমার সিনহার মেয়াদ। তিরি ইতোমধ্যে পদত্যাগ করায় তার স্থানে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা। সে অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।

তাহলে কে হচ্ছেন ২২ তম প্রধান বিচারপতি ? এসকে সিনহা ট্রাজেডির পর এই পদে যেই আসুক না কেন দেশ জুড়ে পক্ষে-বিপক্ষে ব্যপক আলোচনা হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

এদিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে সরকার কাকে বেছে নেবে সে বিষয়ে সুর্নিদিষ্টভাবে না বলা গেলেও বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নাম তালিকার শীর্ষে আছে বলে জানা যায়। তবে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার পাশাপাশি আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নামও আছে তালিকায়।

আপিল বিভাগে বর্তমানে পাঁচজন বিচারপতি আছেন। তাঁদের অবসরের বয়সসীমা ৬৭ বছর। বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর অবসরে যাবেন। বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর এবং বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অবসরে যাবেন।

নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষমতা যতক্ষণ না প্রয়োগ করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কাজ হবে। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব পালন করছেন। কোনো শূন্যতার সৃষ্টি হয়নি। তবে আমি আশাকরি শিগগিরই এ নিয়োগ প্রক্রিয়া হতে পারে।

দীর্ঘ প্রায় চার মাস ধরে শূন্য আছে প্রধান বিচারপতির পদ। দেশের ৪৬ বছরের ইতিহাসে এত দীর্ঘ সময় ধরে এ পদটি খালি পড়ে থাকেনি। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা। তবে আগামী মাসে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হলে এ আলোচনার অবসান হবে বলে মনে করেন আইন মন্ত্রণালয় ও সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘এত দিন দীর্ঘ সময় প্রধান বিচারপতির পদ খালি থাকেনি। এটি বিচার বিভাগের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে আস্থা হরিয়ে যাচ্ছে। অতীতে এত দীর্ঘদিন এই পদ খালি থাকেনি।  প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবিধানে জ্যেষ্ঠতা নিয়ে কোনো নিয়ম নেই। তবু আপিল বিভাগের দীর্ঘদিনের প্রথা অনুযায়ী আমরা চাইব জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে যেন নিয়োগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি তাঁর বিবেক দিয়ে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিবেন সেটাই প্রত্যাশা করি।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, সংবিধানে জ্যেষ্ঠতার কথা উল্লেখ নেই। রাষ্ট্রপতি চাইলে আপিল বিভাগের যে কাউকে নিয়োগ দিতে পারেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন বিচারপতি এস কে সিনহা। তিনি সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি দূতাবাসের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠান। পরে রাষ্ট্রপতি এ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।

 গো নিউজ২৪/আই

আইন-আদালত বিভাগের আরো খবর