সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারি: আজও জেরার মুখে বাচ্চু


নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০১৭, ১২:৪৭ পিএম
সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারি: আজও জেরার মুখে বাচ্চু

দ্বিতীয় দিনের মতো বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। 

আজ সকাল ১০টা থেকে দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির পরিচালক এ কে এম জায়েদ হোসেন খান ও সৈয়দ ইকবালের নেতৃত্বে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কমিশনের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

এর আগে গত সোমবার বাচ্চুকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ থেকে বেরিয়ে ঋণ কেলেঙ্কারির দায় অস্বীকার করেছেন বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘অভিযোগ এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি।’

২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের রাজধানীর তিনটি শাখা থেকে মোট সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণের অভিযোগ ওঠার পর তদন্তে নামে দুদক। 

আবদুল হাই বাচ্চুর নেতৃত্বাধীন পর্ষদ ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ সালের মার্চ পর্যন্ত মাত্র ১১ মাসে নজিরবিহীন অনিয়মের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৯৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ঋণের নামে বিভিন্নজনকে দিয়ে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক তখন তদন্ত করে বলেছিল, ‘৪০টি দেশীয় তফসিলি ব্যাংকের কোনোটির ক্ষেত্রেই পর্ষদ কর্তৃক এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না। এই ঋণ আদায়ের সম্ভাবনাও কম।’

প্রায় চার বছর অনুসন্ধান শেষে এই অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় গত বছর রাজধানীর তিনটি থানায় ১৫৬ জনকে আসামি করে ৫৬টি মামলা করে দুদক।

তবে আসামির তালিকায় বেসিক ব্যাংকের সে সময়ের চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু এবং পরিচালনা পর্ষদের কারো নাম না থাকায় গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সংসদে বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আর এ বছরের আগস্টে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও বাচ্চুকে আসামি না করায় উষ্মা প্রকাশ করেন।

ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় গত ২২ নভেম্বর থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো দুদক কার্যালয়ে ডাকা হয় বাচ্চুকে।

জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে ২০০৯ সালে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১২ সালে তাঁর নিয়োগ নবায়নও হয়। কিন্তু ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠলে ২০১৪ সালে পদত্যাগ করেন বাচ্চু।

গো নিউজ২৪/এবি

আইন-আদালত বিভাগের আরো খবর