প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ১১টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ


নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০১৭, ০৫:১০ পিএম
প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ১১টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ

ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনসহ ১১টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সম্বলিত দালিলিক তথ্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কাছে হস্তান্তর করেছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

সিনহার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপচার, আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ও গুরুতর অভিযোগ তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। বিবৃতিতে গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার দেওয়া বিবৃতিকে বিভ্রান্তিমূলকও বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ি প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে আপিল বিভাগের জেষ্ঠ্যতম বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে প্রধান বিচারপতির অনুরূপ কার্যভার পালনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিচারপতি ইমান আলী ঢাকায় আসার পর ১ অক্টোবর আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতি বৈঠকে বসে ১১টি অভিযোগ (সংযুক্তিসহ) বিশদভাবে পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন, ওইসব গুরুতর অভিযোগগুলো প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করবেন। তিনি ওইসব অভিযোগের ব্যাপারে কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে তার সঙ্গে বসে বিচারকার্য পরিচালনা সম্ভব হবে না। সে অনুযায়ী, একই দিন বেলা সাড়ে ১১টায় অনুমতি নিয়ে প্রধান বিচারপতির ১৯, হেয়ার রোডের বাসায় সাক্ষাৎ করে বিশদ আলোচনা করেন। দীর্ঘ আলোচনার পরেও তার কাছ থেকে কোনো প্রকার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা বা সদুত্তর না পেয়ে আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতি তাকে সুস্পষ্ট জানিয়ে দেন, ওই অভিযোগের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তার সঙ্গে একই বেঞ্চে বসে বিচারকার্য পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করবেন বলে জানান।

এতে আরও বলা হয়, পরের দিন ২ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি কাউকে কিছু অবহিত না করে রাষ্ট্রপতির কাছে এক মাসের ছুটির আবেদন করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি সেটি অনুমোদন করেন এবং বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে অনুরূপ দায়িত্ব নেন।

গো নিউজ২৪/এবি

আইন-আদালত বিভাগের আরো খবর