সাত খুন মামলায় রায় পড়া চলছে


নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০১৭, ১১:৫৬ এএম
সাত খুন মামলায় রায় পড়া চলছে

ঢাকা: সাত খুন মামলায় রায় পড়া শুরু নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় পড়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রায় পড়া শুরু হয়।

এদিকে আদালতের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না সাংবাদিকদের। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এন এম বশিরুল্লাহ জানান, বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী রায় ঘোষণার সময় সাংবাদিকরা আদালতে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে দুই পক্ষের আইনজীবী আদালতে উপস্থিত থাকবেন। রায় শুনে তারা বাইরে এসে ব্রিফ করবেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা কার্যকরের অনুমতি (ডেথ রেফারেন্স) এবং আসামিদের আপিল শুনানি শেষে ২৬ জুলাই আদালত রায়ের জন্য ১৩ আগস্ট দিন ঠিক করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ওইদিন রায় ঘোষণা করা হয়নি। আদালত রায় ঘোষণার জন্য ২২ আগস্ট নতুন তারিখ ধার্য করেন।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় নিহত নজরুলের স্ত্রী বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দুটি মামলা করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে র‌্যাবের তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। তার আগে তিনজনকে নিজ নিজ বাহিনীতে ফেরত নেয়া হয় এবং তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

একসঙ্গে দুই মামলার বিচার শেষে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রায় দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত সৈয়দ এনায়েত হোসেন। সেনাবাহিনীর বরখাস্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ওই রায়ে। ৩৫ জন আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২৬ জনের মধ্যে গ্রেফতার ও আত্মসমর্পণ করে কারাগারে থাকা ২০ জন নিয়মিত ও জেল আপিল করেন। এছাড়া নিন্ম আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য নথিও ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে আসে।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক প্রস্তুত করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা এবং এরপর প্রধান বিচারপতি আলোচিত এ মামলার শুনানির জন্য ১৭ মে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন। ২২ মে শুনানি শুরু হয়।

৩৩ কার্যদিবসের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমএ মান্নান্ন মোহন ও জাহিদ সরওয়ার কাজল এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, এসএম শাহজাহান, এহসান উল্লাহ প্রমুখ।

গো নিউজ২৪/এএইচ

আইন-আদালত বিভাগের আরো খবর