‘পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রীকে অযোগ্য করেছেন, সেখানে কিছুই হয়নি’


আদালত প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০১৭, ০৪:৫০ পিএম
‘পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রীকে অযোগ্য করেছেন, সেখানে কিছুই হয়নি’

ঢাকা: পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের এখতিয়ার প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা) বলেছেন, ‘পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রীকে অযোগ্য করেছেন। সেখানে কিছুই (আলোচনা-সমালোচনা) হয়নি। আমাদের আরো পরিপক্কতা দরকার।’

রোববার (২০ আগস্ট) বিচারিক আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা বিধি নিয়ে আপিল শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপরতি বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগ ধৈর্য ধরছি, যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি। আজকে একজন কলামিস্টের লেখা পড়েছি। সেখানে ধৈর্যের কথা বলা আছে।’ অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে উদ্দেশ করে এস কে সিনহা বলেন, ‘মিডিয়াতে অনেক কথা বলেন। কোর্টে এসে অন্য কথা বলেন।’ 

প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে প্রশ্ন করেন, আপনাকে নয়, আপনাদের বলছি। আপনিই বলেন, কবে কী হবে? আপনারাই তো মিডিয়াতে ঝড় তুলছেন, আমরা কোনো মন্তব্য করছি?’ এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘না, আপনারা করেননি।’

শুনানির শুরুতেই অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘গত তারিখে কী কথা ছিল? আলাপ আলোচনা করার কথা হয়েছিল। কার সঙ্গে কে কে থাকবে? জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ল’ মিনিস্টার।’ আদালত বলেন, ‘অল দ্য জাজেস অব অ্যাপিলেট ডিভিশন। আমাদের সঙ্গে আলোচনা পর্যন্ত  করলেন না?’

এরপর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বিচারিক আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশের জন্য ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর ২০১৫ সালের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় শৃঙ্খলা সংক্রান্ত একটি খসড়া বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিমকোর্টে পাঠায়।

গোনিউজ/এন

আইন-আদালত বিভাগের আরো খবর