মানবতাবিরোধী আজহার-কায়সারের আপিল শুনানি ১০ অক্টোবর


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০১৭, ১০:৫৬ এএম
মানবতাবিরোধী আজহার-কায়সারের আপিল শুনানি ১০ অক্টোবর

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানির জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে আগামী ২৪ আগস্টের মধ্যে দুই আসামি এবং রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের সারসংক্ষেপ আদালতে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন। 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং আসামি জামায়াত নেতা আজহারুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদিন এবং সৈয়দ মো. কায়সারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এটি ট্রাইব্যুনালের ১৫তম রায়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি ষষ্ঠ রায়।

রায়ে বলা হয়, আসামি আজহারের বিরুদ্ধে আনীত ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ, ৫ নম্বর অভিযোগে তাকে ২৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ ও ৬ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ১ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে ওই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (খালাস) দেওয়া হয়। এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে রাজধানীর মগবাজারে নিজ বাসা থেকে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট আজহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। এটি ট্রাইব্যুনালের ১৪তম রায়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি পঞ্চম রায়। কায়সারকে ২০১৩ সালের ২১ মে গ্রেপ্তার করা হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিচার চলাকালে পুরো সময় তিনি শর্তসাপেক্ষে জামিনে ছিলেন।

এ দুই আসামিই ট্রাইব্যুনালের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন।

গো নিউজ২৪/এমবি

আইন-আদালত বিভাগের আরো খবর