ব্লগার রাজীব হত্যার আপিলের রায় যেকোনো দিন


প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০১৭, ০৯:৪৪ পিএম
ব্লগার রাজীব হত্যার আপিলের রায় যেকোনো দিন

গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যার ঘটনায় করা মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের করা ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। যেকোনো দিন রায় ঘোষণা।

সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে মামলার রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। এর আগে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর ২২ দিন শুনানি হয়।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির,সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম ও বিলকিস ফাতেমা। অপরদিকে আসামিদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুর রেজাক খান, মোশাররফ হোসেন কাজল ও মো. আহসান উল্লাহ ।

আইনজীবীরা জানান, নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাওয়া দুজনের মধ্যে পলাতক আসামি রানা আপিল করেননি। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর এক আসামি ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপসহ সাতজন আপিল করেন। গত বছরের ৭ নভেম্বর হাইকোর্টে  এ মামলার শুনানি শুরু হয়।

মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত হন রাজীব। ওই ঘটনায় রাজীবের বাবা ডা. নাজিম উদ্দীন পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী  কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ৫৫ জনকে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী করা হয়।

মামলার আট আসামি ছিলেন— নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দিপু (২২), মাকসুদুল হাসান অনিক (২৬), এহসানুর রেজা রুম্মান (২৩), মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯), নাফির ইমতিয়াজ (২২), সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০), মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী ও রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)।

২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র রেদোয়ানুল আজাদ রানা (পলাতক) ও ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ে মাকসুর হাসান অনিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এহসান রেজা রুম্মান, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজকে দশ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানিকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামি সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে তিন বছরের  সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।

গো-নিউজ২৪/বিএস

আইন-আদালত বিভাগের আরো খবর