রমজানে রোজা না রাখার পরিণাম


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ১০, ২০১৯, ১২:০৯ পিএম
রমজানে রোজা না রাখার পরিণাম

রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস এই মাহে রমজান। রমজান মাসের রোজা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। তাই রমজান মাসের প্রত্যেকটি রোজা সঠিকভাবে পালন করা বান্দার জন্য ফরজ।

কোনো ধরণের অপরগতা ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে এ বিধান লঙ্ঘন করার কোনো সুযোগ নেই। যে কোনো একটি রোজা ছেড়ে দিলেই আল্লাহর নিকট জবাদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস (রমজান) পাবে, সে যেন অবশ্যই তার রোজা রাখে। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে, তবে অন্য সময় সে সমান সংখ্যা পূরণ করবে। (সূরা বাকারা-১৮৫)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, যখন রমজান মাসের আগমন ঘটলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, তোমাদের নিকট বরকতময় মাস রমজান এসেছে। আল্লাহ তয়ালা তোমাদের জন্য এ মাসের রোজা ফরজ করেছেন। এ মাসে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। আর শয়তানদেরকে শিকলে বন্দী করা হয়। এ মাসে এমন একটি রাত আছে, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে এর কল্যান থেকে বিরত হলো, সে তো প্রকৃতপক্ষেই বিরত। (মুসনাদে আহমদ, হাদীস-৭১৪৮ সুনানে নাসায়ী-হাদীস-২৪১৬)

সহীহ বুখারিতে উল্লেখ আছে, যে ব্যক্তি অসুস্থতা ও সফর ব্যতীত ইচ্ছাকৃতভাবে রমজানের একটি রোজাও ভঙ্গ করে, সে আজীবন রোজা রাখলেও ওই রোজার হক আদায় হবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৯৮৯৩, সহীহ বুখারী ৪/১৬০) হজরত আলী (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে রমজান মাসের একটি রোজা ভঙ্গ করবে, সে আজীবন সেই রোজার (ক্ষতিপূরণ) আদায় করতে পারবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৯৮৭৮)

তাই কোনভাবেই গাফলতি করে রোজা থেকে বিরত থাকা উচিত নয় বরং সঠিকভাবে সিয়াম সাধণার মাধ্যমে প্রত্যেকটি রোজা পালন করা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপর ফরজ।

গো নিউজ২৪/এমআর

ইসলাম বিভাগের আরো খবর