আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে, কী বলে ইসলাম?


ইসলাম ডেস্ক: প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০১৯, ০৫:০২ পিএম
আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে, কী বলে ইসলাম?

বিবাহ মহান আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ নেয়ামত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত। ঈমানের পূর্ণতার সহায়ক। চারিত্রিক আত্মরক্ষার অনুপম হাতিয়ার। যুবক-যুবতীর চরিত্র গঠনের অন্যতম উপাদান। আদর্শ পরিবার গঠন, মানুষের জৈবিক চাহিদা পূরণ এবং মানসিক প্রশান্তি লাভের প্রধান উপকরণ হচ্ছে বিবাহ। যা প্রত্যেক মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। এ চাহিদা পূরণার্থেই ইসলামি শারিআত বিয়ের হুকুম আরোপ করেছে।

ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ে একটি দেওয়ানি চুক্তির ফল। অভিভাবকের মাধ্যমে নারী নিজেকে বিয়ের জন্য উপস্থাপিত করে আর পুরুষ গ্রহণ করে অর্থাৎ ইজাব এবং কবুলের মধ্য দিয়ে একটি বিয়ে সুসম্পন্ন হয়।

ইসলামে বিয়ের রুকন তিনটি:

১. বিয়ে সংঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রে সমূহ প্রতিবন্ধকতা হতে বর-কনে উভয়ে মুক্ত হওয়া।

২. ইজাব বা প্রস্তাবনা। এটা মেয়ের অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে পেশকৃত প্রস্তাবনামূলক বাক্য।

৩. কবুল বা গ্রহণ। এটা বর বা বরের প্রতিনিধির পক্ষ থেকে সম্মতিসূচক বাক্য।

বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার শর্তগুলোর অন্যতম হলো-

এক. ইশারা করে দেখিয়ে দেওয়া কিংবা নামোউল্লেখ করে সনাক্ত করা অথবা গুণাবলী উল্লেখঅথবা অন্য কোনো মাধ্যমে বর-কনে উভয়কে সুনির্দিষ্ট করে নেওয়া।

দুই. বর-কনে প্রত্যেকে একে অপরের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া।

তিন. বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখা। হাদিসে বলা হয়েছে, অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোনো বিয়ে নেই। এই হলো সংক্ষেপে বিয়ে প্রসঙ্গে ইসলামের বিধান।

এর অনেকেই আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করেন। ইসলামের দৃষ্টিতে ওই বিয়ে শুদ্ধ নয়। পূর্বেই বলা হয়েছে, বিয়ের জন্য সাক্ষী জরুরী। সাক্ষীর দুজন বিবেকবান প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা একজন পুরুষ , দুজন মহিলা সাক্ষীর সামনে ইজাব-কবুল করা অত্যাবশ্যক। সাক্ষী ছাড়া বিয়ে শুদ্ধ হয় না। এ হিসেবে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করে নিজেদের স্বামী-স্ত্রী মনে করা এবং সে রকম আচরণ করা কবিরা গোনাহ। পরকাল ও চিরস্থায়ী আজাবের কথা মাথায় রেখে এ জাতীয় গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা অপরিহার্য।

গো নিউজ২৪/এমআর

ইসলাম বিভাগের আরো খবর